আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপঃ ভারত কি পেতে চায়?

চীনের আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপঃ

বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতির মানচিত্রে চীন আজ এক অস্বীকারযোগ্য, প্রধান শক্তি।
অথচ ১৯৭৮ সালে দেং জিয়াওপিং-এর অর্থনৈতিক সংস্কারের আগে,
চীন ছিল ভারতের থেকেও দরিদ্র, কৃষিনির্ভর এবং বেকারত্বে ভর্তি এক অনুন্নত রাষ্ট্র।
কিন্তু প্রশ্ন এখানে–
কি এমন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ হাতে পেল,
যে প্রায় ৪৫ থেকে ৪৬ বছরের মধ্যেই উন্নয়ন, দক্ষতা ও অগ্রগতিতে,
বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিধর দেশ হিসেবে তাঁরা পৃথিবীতে আত্মপ্রকাশ করলো?

প্রদীপটা হল–

দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক সংস্কার, সুপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন।

বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করে,
চীন প্রযুক্তি ও মানবসম্পদে নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিনিয়োগ করেছে।

সবচেয়ে বড় কথা–
এই উন্নয়নমুখী নীতিগুলোর মধ্যে,কোনো মূল্যেই রাজনীতির স্বার্থের
কোনো নোনা জল চীন ঢুকতে দেয়নি।

অর্থাৎ, অটুট পরিকল্পনা, দৃঢ়সংকল্পতা আর ধারাবাহিকতা–
এই তিন জিনিসই ছিল সেই আশ্চর্য প্রদীপের মূল তেল।

( তবে এলিয়েন তত্ত্ব প্রমাণিত না হলেও,
মানুষের কল্পনার গভীরে এ যেন আজ নাড়াচাড়া করে অদৃশ্য তরঙ্গের মতন।
পড়ুন– Click: বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল– সমুদ্রের অদৃশ্য রহস্য ত্রিভুজ! )

ছেলেবেলায় আমাদের শেখানো হত–
“ভালোটা নেবে, আর খারাপটা পরিহার করবে।”
তো চীনের থেকে যদি ভালোগুলো এতদিনে গ্রহণ করা হত,
তবে কি আরও কিছুটা এগিয়ে যেত না ভারত?
এটা তো অতি সাধারণ একটা ভাবনা।
দেশের স্বার্থে এটা কি করা যেত না?

রাজনীতি দেশকে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এটাই তো দেশপ্রেমের আসল পরিচয়।
উপযুক্ত প্ল্যানিং, অর্থনৈতিক কাঠামো, অবকাঠামোগত উন্নয়ন,
প্রযুক্তিগত দক্ষতা, গবেষণা ও উৎপাদনমুখী শিক্ষা আর দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাহস,
এ সবই তো আছে আমাদের দেশে।

যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি,
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রভৃতি দেশের সংবিধান থেকে ভালোগুলো সংগৃহীত ও মিশ্রিত হয়ে,
যেমন সৃষ্টি হয়েছে ভারতীয় সংবিধান।
সেই কৌশল ( Strategy ) মাথায় রেখেই এগিয়ে যাওয়া উচিৎ ভারতকে।
যদিও উচিৎ ছিল অনেক আগেই।

শক্তির মাপকাঠিতে চীন বনাম ভারতঃ

একনজরে দেখে নেওয়া যাক চীনের অগ্রগতির পাশাপাশি ভারতের বর্তমান অবস্থান।

উৎপাদনশীলতা

চীন এখন বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদক দেশ, বৈশ্বিক উৎপাদনের প্রায় ৩০% চীনে হয়।
২০২৩ সালে চীনের উৎপাদনমূলক মূল্য সংযোজন দাঁড়ায় ৪.৬৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার,
যা ভারতের মোট উৎপাদনের প্রায় ১০ গুণের বেশি।

তুলনায়– ভারতের উৎপাদনমূলক মূল্য সংযোজন ৪৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার,
যা বৈশ্বিক উৎপাদনের মাত্র ২-৩%.
অর্থাৎ, উৎপাদন ক্ষমতা ও বৈশ্বিক প্রভাবের দিক থেকে চীন অনেক এগিয়ে।

অবকাঠামো

চীনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন অত্যন্ত দ্রুত।
দেশটা ইতিমধ্যেই ৪০,০০০ কিমি হাই-স্পিড রেল এবং ১২০+ স্মার্ট সিটি তৈরি করেছে।
আর এই উন্নত অবকাঠামোগত যোগাযোগ,
শিল্পায়ন ও ব্যবসার গতিকে যথেষ্ঠ বাড়িয়েছে।

তুলনায়– ভারতে বুলেট ট্রেইন এখনও ট্রায়াল পর্যায়ে এবং স্মার্ট সিটি প্রকল্প চলমান।
অবকাঠামোর ধীরগতির কারণে দ্রুত শিল্পায়ন ও উন্নয়ন বেশ সীমিত।

রপ্তানি শক্তি

চীন বিশ্ববাজারে বার্ষিক ৩.৪ ট্রিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে,
যা বিশ্ব অর্থনীতিতে তাঁদের প্রভাবকে বহুগুণ বাড়িয়েছে।

তুলানায়–  ভারতের রপ্তানি ৭৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা চীনের তুলনায় মাত্র অর্ধেকেরও কম।
অর্থাৎ, বৈশ্বিক বাজারে ভারতের অবস্থান এখনও সীমিত।

গবেষণা ও উন্নয়ন

চীন এর GDP-এর ২.৪-২.৫% গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করে,
যা শিল্প অ প্রযুক্তিতে অগ্রগতির প্রধান চালক।

তুলনায়– ভারতের বিনিয়োগ মাত্র ০.৭%,
যা উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার এক বড় কারণ।

সামরিক উৎপাদন

চীন স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক, ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করে।
এটা সে দেশকে কৌশলগতভাবে শক্তিশালী করে তুলেছে।

তুলনায়– ভারতের সামরিক শিল্প এখনও আমদানিভিত্তিক,
তাই দ্রুত স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা বর্তমানে কঠিন।

ব্যবসা ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন

চীনে ব্যবসা শুরু ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন দ্রুত হয়,
অর্থাৎ, সিদ্ধান্ত শেষ– কাজ শুরু।

তুলনায়– ভারতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া দীর্ঘ।
ফাইল, অনুমোদন, আদালত এবং জমি সংক্রান্ত জটিলতায় অনেক সময় ৩ থেকে ৫ বছর,
বা এর বেশি সময়ও লেগে যায়।
ফল– অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাধাপ্রাপ্ত হয়।

ভারতের কি এগুলো শেখা উচিৎ নয়?

ভারত গণতান্ত্রিক দেশ, তাই স্বাভাবিকভাবেই সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া ধীর।
তবে উন্নয়নে ধীরতা কোনো গর্বের বিষয় নয়।
যদি সত্যিই জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হয়, তবে শুধু পরিকল্পনা নয়–
দ্রুত বাস্তবায়ন ও স্পষ্ট ফলাফলও জরুরী।
আর ঠিক এই কাজটাই চীন করে দেখিয়েছে।

ভারতের শেখার মত কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ঃ

  • দীর্ঘমেয়াদী নীতি ধরে রেখে কাজ করা এভাবে,
    যে সরকার পাল্টালেও প্রজেক্ট যেন বন্ধ না হয়।
  • উৎপাদনকে সত্যিই অগ্রাধিকার দেওয়া, তবে স্লোগানে নয়।
  • পরিকাঠামোকে জাতীয় নিরাপত্তা হিসেবে দেখা।
  • গবেষণা ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ানো।
  • সিদ্ধান্তকে দ্রুত বাস্তবে রূপ দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন।

( ১৫ই আগস্ট পতাকা উড়লেই, আজও মনে করিয়ে দেয়–
ব্রিটিশদের লুন্ঠনের সেই জীবন্ত ক্ষত আমাদের এখনও ভরেনি,
যেন রক্ত ঝরছে সমগ্র বুক জুড়ে।
পড়ুন– Click: কোহিনূর থেকে ধানক্ষেত– ঔপনিবেশিক ডাকাতদের সেই প্রায় ১৯০ বছর! )

কিভাবে চীন এত দ্রুত উন্নতি করল?

লং-টার্ম নীতি এবং ধারাবাহিকতা

সরকার পাল্টালেও উন্নয়ন পাল্টায়নি, বজায় ছিল ধারাবাহিকতা।
চীন, ৪০ বছরের প্ল্যান নিয়ে এগিয়েছে।

এদিকে ভারতে– সরকার যেই পাল্টালো, বদলে গেল নীতি।
যা দেশের জন্যে, মানুষের জন্যে ভালো, এগিয়ে নিয়ে যাবে রাষ্ট্রকে,
তা গ্রহণ করা যে কোনও সরকারের পক্ষেই উচিৎ।
কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও ব্যক্তিগত অহঙ্কার এ দেশের অলঙ্কার,
তা আগে, আর ঠিক এ কারণেই উন্নয়ন রাজপথে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে।

“বিশ্বের কারখানা” হওয়ার লক্ষ্য

চীনের ঠান্ডা মাথার হিসেব অনু্যায়ী–
যারা উৎপাদন করবে, বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করবে তারাই।
ফলে–

  • সহজ জমি।
  • ট্যাক্স ছাড়।
  • দ্রুত অনুমোদন।
  • অবকাঠামো আগে, শিল্প পরে।

এই ফর্মুলায় চীন বিদেশি কোম্পানিগুলোকে আকৃষ্ট করে,
এবং পাশাপাশি নিজস্ব জ্ঞানও অর্জন করে।

অবকাঠামোকে জাতীয় নিরাপত্তা মনে করা

হাইওয়ে, বন্দর, রেললাইন–
এগুলো শুধু উন্নয়ন নয়, কৌশলগত শক্তি।
ঠিক সেই কারণে, চীন তাই আগে বানিয়েছে রাস্তাঘাট, এরপর শিল্প।

শিক্ষা ও যন্ত্রশিক্ষা একসাথে

চীনে শুধুমাত্র ডিগ্রি নয়, স্কিল ডেভেলপমেন্ট বাধ্যতামূলক।
ফলে শ্রমিকও আধুনিক প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত।

চীনকে ভয় নয়– শিক্ষক হিসেবে দেখা উচিৎঃ

জাতীয়তাবাদ মানে সত্যিকে কি অস্বীকার করা?
না, তা নয়।
চীনের সাফল্য ভবিষ্যতে ভারতের জন্যে হুমকি হতে পারে,
আবার হতে পারে অণুপ্রেরণাও।
নিজের দেশের স্বার্থে চীন থেকে আমাদের শেখা উচিৎ ছাত্রের মত,
আর এটাই হবে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কৌশল, কিংবা কূটনৈতিক বুদ্ধিমত্তা।

ঈর্ষার প্রয়োগ সব ক্ষেত্রে করা যায় না, কখনও কখনও তা ধ্বংসের কারণও হতে পারে।
ব্যক্তিগত বিদ্বেষ, রাগ, হিংসে, রাজনৈতিক প্রতিযোগীতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা–
রাজ্য বা রাষ্ট্র চালাবার ক্ষেত্রে সাধারণ জনগনের মধ্যে ভাইরাসের মত কাজ করে।

যে দেশ ৪০-৪৫ বছরে ৮০০ মিলিয়ন মানুষকে দারিদ্র থেকে টেনে তুলতে পারে,
সে দেশের মডেল বিশ্লেষণ করে নিজেদের স্বার্থে প্রয়োগ করা সর্বদাই বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।
“ভারত মাতা কি জয়!”– বলার চেয়ে দেশপ্রেম বড়,
দেশের জন্যে কিছু করে দেখানো প্রকৃত দেশপ্রেম, যা ভারতকে সত্যি শক্তিশালী করে।

যুদ্ধ স্লোগানে নয়, জেতা যায় বাজারে।
ভাবুন তো শক্তি এখন কার হাতে?
যে বন্দুক তৈরি করতে পারে,
না যে মোবাইল ফোন, চিপ, ড্রোন ও স্যাটেলাইট বানাতে পারে?

চীনের প্রদীপ থেকে ভারতের পাঠ

এক দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার হাত ধরে চীন বিগত ৪০-৪৬ বছর ধরে এগিয়েছে।
আর আমরা– মাঝে মাঝে চায়ের কাপ হাতে বসে, “আজ কি নতুন এল?”
বলে অপেক্ষা করি।
প্রজেক্ট শুরু করতে গেলে, ফাইল, অনুমোদন, জমি, আদালত–
এগুলোর লাইন যেন কিছুটা নাটকীয় হলেও বাস্তব।
বুলেট ট্রেন ট্রায়ালে, স্মার্ট সিটি পরিকল্পনায়,
আর উৎপাদনের বৈশ্বিক শেয়ার নিয়ে ভারত এখনও দাঁড়িয়ে আছে চশমার পিছনে।

চীনের ক্ষেত্রেঃ সিদ্ধান্ত– কাজ– ফলাফল।
ভারতের ক্ষেত্রেঃ
সিদ্ধান্ত– ফাইল– অনুমোদন– আবার ফাইল– আদালত– ছটা টি ব্রেক– শেষমেশ কিছু হলে আশ্চর্য।
অর্থাৎ, ফাইলগুলো যেন নিজেরাই বসে গল্প শোনায়,
“আজকের নীতি কাকে ভাল লাগবে, তা আমরা ঠিক করি।”

কথার রকেট চাঁদ ছোঁয়– কাজের গতি মাটিতেইঃ

শুধু মুখের কথা আর সভার বজ্রপাত দিয়ে এভাবেই যদি উন্নয়নের গল্প সাজাতে থাকি,
আগামী দিনে আমরা ক্রমশঃ পিছিয়ে যাব।
আর একদিন দেখবো–
“সোনার ভারত” রূপান্তরিত হয়েছে অ্যালুমিনিয়াম-এর ভারতে
শেষে ধরা পড়বে– ভারতটা পোলিও রোগে আক্রান্ত।
দাঁড়িয়ে আছে ঠিকই, কিন্তু চলার শক্তি নেই।

তবে এটা ঠিক–
কথার তেজে যদি উন্নয়ন মাপা যেত, ভারত এখন পর্যন্ত চাঁদ পেরিয়ে যেত ১০ বার।

আজকাল অনেকেই বুকে হাত রেখে আত্মবিশ্বাসের সাথে বলে–
আমরা নাকি এখনও উন্নয়নশীল দেশ।
আজকাল অনেকেই যখন বলে–
ভারত কি দিয়েছে বিশ্বকে?
মনে হয়, ইতিহাসের বইটা তাঁদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া উচিৎ।
আর বলা উচিৎ–
যে বিষয়ে পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করবে, একমাত্র সেই বিষয়েই আত্মবিশ্বাস ভালো।
নিজের মর্যাদাকে নিজেই ছোট করে কোন শ্রেণীর মানুষ?

যে ভারত একদিন দিশা দেখাতো পৃথিবীকেঃ

কারণ গোটা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মধ্যে এই সেই ভারত–

  • যে ভারত এত ডিটেইল এবং সম্পূর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থায় সমগ্র পৃথিবীতে একসময় প্রথম ছিল।
  • যে ভারতে ছিল নালন্দা, তক্ষশিলা।
  • যে ভারতে জন্ম শূন্যের ধারণা ও দশমিক সংখ্যা ব্যবস্থার।
  • যে ভারতে প্রাচীনকালেই সূক্ষ্ম ধাতু, যেমন মরিচাই লোহা তৈরি হত,
    যা বিশ্বের অন্য কোথাও পাওয়া যেত না।
  • যে ভারতে ছিল হরপ্পা, মহেঞ্জদারো।
  • যে ভারত জন্ম দিয়েছে জ্যোতির্বিদ্যা, উদ্ভাবন হয়েছিল মহাকাশ গবেষণা।
  • যে ভারতে প্রাচীন ব্যাঙ্কিং ও বীমার প্রাথমিক রূপ বিদ্যমান ছিল।
  • যে ভারত মশলার জন্যে প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কদর পায়।
  • যে ভারতে কোহিনূর ছাড়াও ছিল অপরিমীত সুবর্ণধন।
  • যে ভারত পৃথিবীকে আলোকিত করেছে–
    লতা মঙ্গেশকর, সত্যজিৎ রায়, ডঃ এ পি জে আব্দুল কালাম, ডঃ বিধান চন্দ্র রায়,
    শচীন তেন্ডুলকর ( Tendulkar ), চন্দ্রশেখর বসু, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু,
    আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু, উস্তাদ আল্লা রাখা খাঁ, জাকির হুসেইন,
    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পি ভি সিন্ধু, বিশ্বনাথ আনন্দ,
    ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র বসু প্রভৃতি এর মতন নক্ষত্রের আলোয়।

সেই ভারত আজও বইছে আমাদের শিরা-ধমনীতে।
সেই ভারত আজও আমাদের আত্মায়, প্রতিটা পদক্ষেপে।
আমরা যদি চোখ খুলে দেখি–
দেখবো আজও ইতিহাসের আলো আমাদের বর্তমানকে পথ দেখাচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Join Our Newsletter

We don’t spam! Read our privacy policy for more info.

About Articles Bangla

Check Also

ক্ষোভে-দুঃখে একজন মেয়ে মানুষ ধ্বংসস্তূপের মাঝে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন, মেঘাচ্ছন্ন আকাশে ঈশ্বরের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ছেন, এবং তাঁর বুকে অভ্যন্তরীণ ন্যায়ের বীজ জ্বলছে। ঈশ্বর আছেন কি নেই—এই নৈতিক দ্বন্দ্ব এবং মানবতার দায়বদ্ধতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ঈশ্বর আছেন, না নেই?– ন্যায়ের পরীক্ষা!

ঈশ্বর আছেন, না নেই?– ন্যায়ের খাঁড়ায় বিশ্বাস ও অস্থিরতা মানুষের মন বহুবার একই জায়গায় এসে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *