ভারতের সুবর্ণযুগের বিষ্ময়কর এক প্রতিভা আর্যভট্ট- পৃথিবীর ঘূর্ণন ও শূন্যের ধারণার আবিষ্কারক।
মানব সভ্যতার ইতিহাসে আর্যভট্ট শুধু একজন গণিতবিদ নন।
তিনি ছিলেন জ্ঞানের আলো প্রদানকারী এক মহীরুহ।
পৃথিবীর ঘূর্ণন, গ্রহ-নক্ষত্রের গতি, সংখ্যার নতুন ধারা-
সবকিছুতেই তাঁর অবদান অমোঘ ছাপ রেখে গেছে।
ইউরোপ যখন অন্ধকারে ডুবে ছিল,
ভারত সে সময়ে জন্ম দিয়েছে এক তেজদীপ্ত আলোকস্তম্ভ-আর্যভট্ট।
(বিশ্ব ইতিহাসে কি ছিল আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য?
এসে পৌঁছেছি ঠিক কোন জায়গায়?
জানতে গেলে পড়তে পারেন নিচের লেখাটাঃ)
নালন্দার ছায়ায় দাঁড়িয়ে, Google এর Data Cloud- এ ঝুলন্ত ঐতিহ্যের ধ্বংসাবশেষ!
জার্মান চিকিৎসক, আয়ুর্বেদের জনক স্যার স্যামুয়েল হ্যানিম্যান
যেমন ভারতের প্রায় প্রত্যেকটা হোমিওপ্যাথি ফার্মেসি ও চিকিৎসালয়ে
গুরু শ্রদ্ধায় বিশেষভাবে সম্মানিত হন,
প্রশ্ন হল- ঠিক সেভাবেই কি বিদেশে পূজিত হন আমাদের আর্যভট্ট?
না কি, জ্ঞান ও প্রতিভার সঠিক মর্যাদা আজও বিদেশিদের শিখতে হবে ভারতীয়দের থেকে?
বিশ্ব জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কি কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ নয় আর্যভট্টের কাছে?
যিনি মানব জ্ঞানের আকাশে রয়ে আছেন এক অনন্ত দ্যুতি হয়ে?
গ্যালিলিও, কোপারনিকাস, কেপলার, হকিং বা হোক না কেন আইজ্যাক নিউটন-
অসম্ভব মেধা তো বটেই,
পাশাপাশি উন্নত বিজ্ঞান-প্রযুক্তির সহায়তায় সমগ্র বিশ্বব্যাপী এনারা পেয়েছেন যে সু’নাম, যশ ও খ্যাতি-
তার ঠিক কতটুকু অংশ জুটেছে ভারতীয় এই নক্ষত্রের ক্ষেত্রে?
কতটুকু জুটছে আজও দাঁড়িয়ে?
আসলে স্বদ্বেশি ছেড়ে বিদেশি বিজ্ঞানীদের নিয়ে মাতামাতি বা
এনাদেরকে উচ্চ থেকে উচ্চতর জায়গায় যথাসম্ভব পৌঁছে দেওয়ার বাকি দায়িত্ব
বরাবর’ই আমরা করে থাকি যথাযথভাবে পালন।
বিশ্ব ইতিহাসখ্যাত এই মহান ভারতীয়কে সম্মান জানাতে-
আর্যভট্ট ছিলেন ভারতীয় বিশুদ্ধ গণিতবিদ ও গাণিতিক-জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
এই ”আর্যভট্ট” সমগ্র বিশ্বের ইতিহাসে কিন্তু এক তুমুল আলোড়ন সৃষ্টিকারী নাম।
খ্রিষ্টের জন্মের ৪৭৬ বছর পর যখন যুক্তিবাদী তেজস্বী প্রতিভাধর এই বিজ্ঞানীর জন্ম হয়েছিল-
সে সময়টাকে বলা হয়ে থাকে ”ভারতের সুবর্ণযুগ।”
সে সময়ে ভারতে শাসন করছিলেন গুপ্ত বংশের রাজারা।
তাঁর জন্মস্থান নিয়ে আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি কোনো সুস্পষ্ট তথ্য ঠিক’ই,
কিন্তু গণিত এবং জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত আর্যভট্টের বিভিন্ন কাজ সংকলিত হয়েছে মূলত দুটি গ্রন্থে,
এর মধ্যে প্রথমটি ‘আর্যভট্টীয়’ ও দ্বিতীয়টি হল ‘আর্য-সিদ্ধান্ত।’
দুটি গ্রন্থের মধ্যে উদ্ধার করা গেছে, চার খন্ডে রচিত বিজ্ঞানভিত্তিক, মহার্ঘ্য সংকলনের আর্যভট্টীয় গ্রন্থটা,
যা সম্পূর্ণভাবে গ্রন্থকারের মৌলিক চিন্তা-প্রসূত।
এতে সংস্কৃত স্তোত্রের মোট সংখ্যা ছিল ১১৮ টা।
সমগ্র পৃথিবীর গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক মাইলস্টোন এই ‘আর্যভট্টীয়’ গ্রন্থ।
গ্রন্থটা তিনি রচনা করেন মোট চারটি খন্ড বা অধ্যায়ে,
যেগুলো হল যথাক্রমে, ‘দশগীতিকা, গোলপাদ, কালক্রিয়াপদ ও গণিতপাদ।’
এর মধ্যে প্রথম তিনটেতে সংকলিত রয়েছে জ্যোতির্বিদ্যা ও গোলীয় ত্রিকোণমিতি সম্পর্কিত বিষয়বস্তু।
শেষ অধ্যায়ে অর্থাৎ গণিতপাদে ব্যাখায়িত আছে বীজগণিত, পাটিগণিত, দ্বিঘাত সমীকরণ,
সমতল ত্রিকোণমিতি n সংখ্যক (প্রথম), সাইন অনুপাতের সারণি প্রভৃতি।
এছাড়াও বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে,
গণিতপাদ অধ্যায়ে আর্যভট্ট সেই সময়কার জ্যোতিষচর্চার জন্যে অত্যাবশ্যক
মোট ৩৩ টা গাণিতিক প্রক্রিয়ার বর্ণনা করেছেন।
পাই (π)-এর মানকে নির্ণয় করতে গিয়ে
তিনি যে Calculation-কে তুলে ধরেছেন তা এমন-
‘৪-এর সাথে ১০০ যোগ করে তাকে ৮ দিয়ে গুণ করে
এর সাথে ৬২, ০০০ যোগ করলে পৌঁছে যাওয়া যাবে
২০ হাজার একক ব্যাসের বৃত্তের পরিধির কাছাকাছি।’
আর এই হিসেব অনুযায়ী আর্যভট্ট নির্ণয় করেছিলেন পাই এর মান-
{(4+100) ×8+62000}/20000 = 62832/20000 = 3.1416
**”চতুরধিকং শতমষ্টগুণং দ্বাষষ্টিস্তথা সহস্রাণাম্।
আয়ুতদ্বয়বিষ্কম্ভস্যাসন্নো বৃত্তপরিণাহঃ।।”**
দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির প্রয়োগে তিনি শূন্য ব্যবহার করেছেন কি না,
সে বিষয়ে রয়ে গেছে কিছু দ্বিধা-দন্দ্ব,
তবে শূন্যের সমতুল্য একটা ধারণা তাঁর কাজে ছিল বলে মনে করা হয়-
যেটাকে বলা হয়েছে ‘খ’ (শূন্যতা অর্থে।)
এখন ‘খ’ এর এই যে ধারণা, সেটা কোনও অঙ্ক হিসেবে,
নাকি ছিল কোনও শূন্যস্থান জ্ঞাপক চিহ্ন হিসেবে?
সেটা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক।
যদিও বর্তমানে সেই তর্ক-বিতর্ক অনেকটাই অবসানের মুখে।
আজ থেকে প্রায় ৪০০০-৫০০০ খ্রিস্টপূর্বে-
প্রথম গণনা ব্যবস্থার প্রচলন শুরু করেন বর্তমান ইরাক
তথা মেসোপোটেমিয়ার সুমেরীয়রা।
কিন্তু সেই গণনায় শূন্য’কে তাঁরা ব্যবহার করতেন
শুধুমাত্র ‘খালি জায়গা’ হিসেবেই।
সংখ্যার মাঝে মাঝে এই খালি জায়গা রাখার বিষয়টা থেকেই
শূন্যের ধারণা প্রথম বলে পাওয়া যায় ঐতিহাসিক প্রমাণও।
পরবর্তীতে এই গণনা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ব্যাবিলনীয় সভ্যতার মানুষরা।
মেসোপটেমিয়ানরা গণনার জন্য ব্যবহার করতেন ষষ্টিম (৬০ ভিত্তিক) সংখ্যা পদ্ধতির।
এই পদ্ধতি ব্যবহার করে তাঁরা পরিচালনা করতেন ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি ও জ্যোতির্বিদ্যার কাজ .
তাঁদের উদ্ভাবিত এই গণনা পদ্ধতিই আজ পর্যন্ত বিবেচিত হয়ে আসছে
মানব সভ্যতার প্রাথমিক গণিত চর্চার ভিত্তি হিসেবে।
ব্যাবিলনীয়রা লিখতেন সুমেরীয়দের থেকে প্রাপ্ত কিউনিফর্ম লিপিতে,
সেখানে সুমেরীয়দের মতন শুধুমাত্র খালি জায়গা না রেখে
তাঁরা শূন্যকে ব্যবহার করতে শুরু করলেন একটু ভিন্ন মাত্রায়,
অর্থাৎ শূন্য বোঝাতে ব্যবহার করতেন ২টো কোণাকৃতির (‘’) চিহ্নকে।
ক্রমে ব্যাবিলনীয়দের থেকে প্রায় ১২-১৩,০০০ মাইল দূরে
মায়ান সভ্যতায় ‘খালি জায়গা’ নির্দেশক হিসেবে এই শূন্যের প্রবেশ।
আর এভাবেই ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে আর্যভট্ট থেকে ব্রম্ভগুপ্তে শূন্যের সংখ্যারূপে পূর্ণাঙ্গ প্রকাশ।
সর্বশেষ বলা যেতে পারে-
শূন্যকে তাঁর ‘ব্রহ্মস্ফুট সিদ্ধান্ত’ নামক বইয়ে সংখ্যার মর্যাদায় বসিয়েছেন এই ব্রম্ভগুপ্তই।
তবে প্রচলিত বইগুলোতে, আর্যভট্টের এই ধারণাকে চিহ্নিত করা হয়েছে শূন্যস্থান জ্ঞাপক চিহ্ন হিসেবে।
ফরাসি লেখক ও বিশেষত সংখ্যাসূচক গণিতের ইতিহাসবিদ Georges Ifrah দাবি করেছেন-
আর্যভট্ট পরোক্ষভাবে সেটাকে ব্যবহার করতেন এক দশমিক অঙ্ক হিসেবেই,
তবে এটা ঠিক যে, দশমিক পদ্ধতিকে ব্যবহার করে
পূর্ণাঙ্গ গাণিতিক প্রক্রিয়া বর্ণনা করেন তিনিই প্রথম।
আর্যভট্ট তাঁর সমস্ত গ্রন্থগুলোই রচনা করেছেন
পদবাচ্যের (সংখ্যাগুলো উপস্থাপিত হয়েছিল শব্দের আকারে) আকারে।
আর্যভট্টীয় গ্রন্থের গোলপাদ অধ্যায়ে একটা হিসেবমূলক উদাহরণের সাহায্যে আর্যভট্ট উল্লেখ করেছেন-
“পৃথিবী তার নিজ অক্ষের সাপেক্ষে ঘূর্ণায়মান।”
পৃথিবীর পরিধি ৩৯ ,৯৬৮ কিলোমিটার ( মাত্র ০.২% ভুল, )
যা সেই সময়ে ও সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বহন করে অবিশ্বাস্য ও
অকল্পনীয় এক নিখুঁত পরিমাপের ঈঙ্গিত।
চাঁদের যে নিজস্ব কোনো আলো নেই,
সূর্য থেকেই প্রতিফলিত,
সে ধারণাও তিনি ব্যক্ত করেছেন স্পষ্টভাবে।
ভাবলে বিস্ময়ে হতবাক হতে হয়-
অত্যাধুনিক কম্পিউটার, ক্যালকুলেটর বা টেলিস্কোপ তো কল্পনাতীত।
বিজ্ঞান-প্রযুক্তিগত কোন Minimum যন্ত্রপাতির চিহ্নটুকুও সে সময়ে প্রায় ছিলনা,
অথচ কোনপ্রকার সংখ্যার উল্লেখ ছাড়াই,
মাত্র ২৩ বছরের একজন যুবক,
Computer Coding-এর ব্যবহারের মতন শুধুমাত্র সংস্কৃত ভাষার
Coding-এর সাহায্যে এই গ্রন্থে প্রস্তুত করেছেন-
তাঁর নির্ভুল গাণিতিক নির্দেশমূলক ব্যাখ্যা।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে-
আজ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি আর্যভট্টের আর্য-সিদ্ধান্ত-এর কোনো
পাণ্ডুলিপি!
পরবর্তীতে, বরাহমিহির, ব্রহ্মগুপ্ত এবং প্রথম ভাস্করের রচনার মাধ্যমে জানা যায় যে-
জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত গণনা বিষয়ক একটা রচনার সংকলন এই আর্য-সিদ্ধান্ত নামক গ্রন্থটা।
তবে সৌরজগতের পৃথিবী,
না সূর্যকেন্দ্রিক মডেল তিনি ব্যবহার করেছিলেন সেটি নিয়েও রয়েছে বিতর্ক।
কি ভাবছেন, প্রতিভার শেষ এখানেই?
না, তা নয়,
আর্যভট্ট তাঁর আর্যভট্টীয় গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন-
কলিযুগের ৩,৬০০ তম বছরে তাঁর বয়েস ছিল ২৩ বছর,
আর এই তথ্যকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন পন্ডিতগণ পেয়ে যান,
আর্যভট্টের জন্মসাল সম্পর্কে একটা প্রায় নির্ভুল ও তথ্যযুক্ত ধারণা।
আর্যভট্টের পরবর্তী একজন গণিতবিদ প্রথম ভাস্কর ( আর্যভট্টের শিষ্য হিসাবে জানা যায় )
– এর ভাষ্য অনুযায়ী-
তিনি জন্মেছিলেন নর্মদা ও গোদাবরী নদীর মধ্যবর্তী স্থানে,
দক্ষিণ গুজরাট ও উত্তর মহারাষ্ট্রের আশেপাশে
ষোড়শ মহাজনদের অশ্মকা (অস্মক) নামক এক জনপদে।
আবার আর্যভট্টীয় গ্রন্থে-
তিনি নিজেকে কুসুমপুর / পাটলিপুত্রের (বর্তমান বিহারের রাজধানী পাটনা শহরে)-এর
অধিবাসী হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
আর্যভট্ট তাঁর কাজের সিংহভাগ থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ-
সবটাই সম্পন্ন করেন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি-
এই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু ছিল সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে
এক্কেবারে প্রথম, বৃহৎ, সংগঠিত, আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষাশেষে তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন একজন শিক্ষক হিসাবে।
পরবর্তীতে-
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবেও একসময় আর্যভট্ট
পালন করেছিলেন তাঁর গুরুদায়িত্ব।
যদিও এ তথ্য সম্পূর্ণ অনুমানভিত্তিক।
একজন ডাচ গণিতবিদ ও গণিতের ইতিহাসবিদ-
Bartel Leendert van der Waerden ও Cryptographer,
আন্তর্জাতিক প্রাচীন জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং গণিত গবেষক Dr. Hugh Thurston এর লেখায়-
আর্যভট্টের জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত হিসাব নিকাশের পদ্ধতিকে
সরাসরি দাবি করা হয়েছে কিন্তু সূর্যকেন্দ্রিক বলেই।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে-
জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাস, জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগ ও
California Institute of Technology-এর Visiting Professor Noel Swerdlow আবার
B.L. van der Waerden এর প্রত্যক্ষ সমালোচনা করে বিভিন্ন ব্যাখ্যার মাধ্যমে দেখিয়েছেন যে-
আর্যভট্টের ধারণা অনুযায়ী সৌরজগত ছিল পৃথিবীকেন্দ্রিক।
অপর দিকে Dennis Duke এর মতানুযায়ী-
আর্যভট্টের কাজের পদ্ধতি ছিল সূর্যকেন্দ্রিক,
তবে সেটা তিনি লক্ষ করেননি কিংবা রয়ে গেছিল অবচেতন মনে।
১. ফ্রান্সের দার্শনিক ভলতেয়ার বলেছেনঃ
“আমি বিশ্বাস করি , আমাদের কাছে যা কিছু এসেছে ,
তা গঙ্গার তীর থেকে এসেছে , জ্যোতির্বিদ্যা , জ্যোতিষশাস্ত্র , পুনর্জন্মবাদ ইত্যাদি।”
২. জার্মান দার্শনিক ফ্রিডরিখ শ্লেগেল মন্তব্য করেছিলেনঃ
“ভারত সমস্ত ভাষা চিন্তা ও কবিতার উৎস!”
৩. মার্ক টোয়েন ভারত প্রসঙ্গে বলেছিলেনঃ
“India is the cradle of the human race, the birthplace of human speech, the mother
of history, the grandmother of legend, and the great grandmother of tradition.”
৪. উইল ডুরান্ট – আমেরিকান ইতিহাসবিদ ও দার্শনিকঃ
India was the mother of our race., and Sanskrit the mother of Europe’s languages.
India was the mother of our philosophy…of
much of our mathematics…of the ideals embodied in Christianity…of self-government and democracy.”
(The Case For India 1930)
৫. ম্যাক্স মুলার: জার্মান ইন্দোলজিস্ট ও ভাষাবিজ্ঞানীঃ
“If I were asked under what sky the human mind has most fully developed some of its
choicest gifts…I should point to India.”
৬. ফ্রান্সিস্কো আলভারেস: পর্তুগীজ ভ্রমণকারীঃ
(১৫শ শতক)
“I do not believe that there is a more beautiful country in the world,
nor people more gentle and kind.”
৭. হেগেল, জার্মান দার্শনিকঃ
“India has created a world of thought which has no parallel in the western world.”
৮. রবার্ট ক্লাইভ, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীঃ
তিনি নিজেও স্বীকার করেছিলেন যে ভারতের ধনসম্পদ ও সাংস্কৃতিক ঐশ্বর্যই ছিল
ব্রিটিশ আগ্রাসনের মূল প্রেরণা।
৯. হেনরি ডেভিড থোরো, আমেরিকান দার্শনিক ও কবিঃ
Whenever I have read any part of the Vedas, I feel that I have met with a superior force.”
তন্ময় সিংহ রায়
মানবতার মন্দিরে ধর্ম এক সুর সে মানুষ হিন্দু হোক, মুসলমান হোক, কিংবা হোক বৌদ্ধ, জৈন…
হারানো সভ্যতার নিঃশ্বাস ঘন জঙ্গলের বুক চিরে দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন পাথরের দেয়াল; লতা-গুল্ম যেন সময়ের…
রাজনীতি এখন ধর্ম নয়, রক্তচাপ মানুষ এখন শুধু ভোটে রাজনীতি করে না– রাগে, ভালোবাসায়, ঘুমে,…
ঈশ্বর আছেন, না নেই?– ন্যায়ের খাঁড়ায় বিশ্বাস ও অস্থিরতা মানুষের মন বহুবার একই জায়গায় এসে…
পৃথিবীঃ এক ঘূর্ণনশীল অবিরাম রহস্যের জন্মভূমি পৃথিবী আমাদের জন্মভূমি, এক অবিরাম রহস্যের ঘূর্ণায়মান গ্রহ। আমরা…