পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে ভয়াবহ মাত্রায় (Global Warming)- এখন'ই সময় Climate Change রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার।
সহজ-সরল ভাষায় পৃথিবীর তাপমাত্রা অবিরত বেড়ে চলা,
অর্থাৎ, পৃথিবীর জ্বর এখন গিয়ে পৌঁছেছে ১০৭.৬° F- এ,
পৃথিবীর ব্রেইন ড্যামেজ, সে বাঁঁচবে কি না, এখন সেটাই রীতিমতন যথেষ্ট উদ্বেগের।
এটা এখন কিন্তু আর কোনো ভবিষ্যতের শঙ্কা নয়,
বর্তমানের এক কঠিন সত্য।
বরফ গলছে মাত্রাতিরিক্ত হারে,
ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাও বাড়ছে,
বনাঞ্চল পুড়ে হয়ে যাচ্ছে ছাই,
পাশাপাশি জলবায়ুর চরম পরিবর্তন প্রতিশোধস্বরূপ
নির্দয়ভাবে ধ্বংস করছে কৃষি, প্রাণী ও মানুষের জীবনচক্রকে।
আজও আমরা চুপচাপ, অসচেতন, উদাসীন,
কিন্তু ভবিষ্যৎ পরিণাম?
আগামী প্রজন্মকে গুনতে হবে এর অকল্পনীয় মাশুল,
প্রভাব : পানীয় জলের হাহাকার, শ্বাস নেওয়ার জন্যে বিশুদ্ধ বাতাসের অভাব।
প্লাস্টিক, কার্বন নিঃসরণ, নির্বিচারে গাছ খুন –
সব মিলিয়ে আমরা নিজেরাই বাজাচ্ছি নিজেদের মৃত্যুঘন্টা!
(মানুষ কিভাবে ধীরে ধীরে প্রকৃতিকে শেষ করে দিচ্ছে-
জানতে হলে পড়তে পারেন নিচের লিঙ্কে ক্লিক করেঃ)
প্রকৃতির অবমাননাঃ মানব সভ্যতার অস্তিত্ব সংকটের পূর্বাভাস!
এখন আর সময় কি আছে?
(হয়তো তখন লিখতে হবে, “এখন আর সময় নেই , কিচ্ছু করারও নেই”)
দাঁত থাকতে দাঁতের মূল্য আজও আমরা দিই না-
তবুও,
✅ গাছ লাগানো উচিৎ যথেষ্ট পরিমাণে।
✅ সময়-সুযোগ হলেই অন্যদের এ কাজে করা উচিৎ আগ্রহী।
✅ প্লাস্টিকের ব্যবহার একেবারে উচিৎ বন্ধ হওয়া।
✅ নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে এগিয়ে যেতে হবে যত শীঘ্র সম্ভব।
✅ সচেতন হওয়া উচিৎ নিজেদের ও উচিৎ অন্যদের সচেতন করা।
✅ আগে পরিবেশ রক্ষা, গণতন্ত্রের সরকারের মাথায় এটা স্থায়ীভাবে বসিয়ে দেওয়া।
এটা কিন্তু আজ শুধু পরিবেশ রক্ষার লড়াই আদৌ নয়,
এটা আজ আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই।
সময় যদি আমাদের এখনও না আসে সোচ্চার হওয়ার,
দায়িত্ব নেওয়ার, সচেতন করার, হওয়ার, তো আগামীতে দাঁড়িয়ে পথ খোলা একটাই- ধ্বংসের করাল গ্রাসে পড়ে নিশ্চিহ্ন হওয়া।
আমরা কি এখনও বসে আছি ভেবে?
যে প্রযুক্তি আর বিজ্ঞান ছুটে চলেছে যে দুর্বার গতিতে,
মানুষ বের করেই ছাড়বে এর কিছু না কিছু সমাধান?
কিন্তু এটাও যেন আমরা মনে রাখি,
প্রকৃতি একবার চুড়ান্ত রায় দিলে,
মানবসভ্যতার কোনও বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত দম্ভই তা পারবে না ঠেকাতে।
আজকের যে চরম গরম, হঠাৎ অস্বাভাবিক বৃষ্টি, খরা আর ভয়ঙ্কর
ঘূর্ণিঝড় আমরা দেখছি-
সেগুলোই আসলে প্রকৃতির বারংবার সতর্কবার্তা।
সমুদ্রের মাছ কমছে, জলের উৎস শুকিয়ে যাচ্ছে,
গ্রামগুলো রূপান্তরিত হচ্ছে মরুভূমিতে।
তবুও আমরা উদাসীন, অসচেতন।
অথচ সময় ফুরিয়ে আসছে দ্রুত হারে।
আমরা যখন শহরের কংক্রিটের অট্টালিকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে
আরাম করছি-
তখন গ্রামের কৃষক, ফসলহীন জমিতে দাঁড়িয়ে
আকাশের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছে এক টুকরো মেঘ।
ঠাণ্ডা কোকের বোতল হাতে নিয়ে আমরা যখন
টিভিতে জলবায়ু সম্মেলনের খবর দেখি-
তখন আফ্রিকার কোনও এক শিশু দূষিত জল খেয়ে লড়ছে মৃত্যুর সাথে।
এই বৈষম্য, এই অবহেলা, এই উদাসীনতা-
একদিন বুমেরাং হয়ে ফিরবে আমাদের দিকেই,
আর তখন এক বুক অপরাধ বোধে চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখতে হবে ধ্বংসলীলা।
পৃথিবীর তখন আর বাড়িয়ে দেবে না বাঁচানোর হাত,
বরং নিজের ভারসাম্য ফেরাতে মুছে ফেলবে আমাদের’ই।
আমরা যদি এখনই না বদলাই-
হয়তো আগামী ২০, ৩০ অথবা ৫০ বছরের মধ্যেই
বিশ্বের অনেক বড় বড় শহর তলিয়ে যাবে সমুদ্রের নিচে।
কোলকাতা, মুম্বই, নিউইয়র্ক, টোকিও-
সব নাম একদিন হারিয়ে যাবে ইতিহাসের পাতায়।
আমরা চাইলে পৃথিবীকে ফিরিয়ে দিতে পারি এর স্বাভাবিক ছন্দে।
কিছুটা হলেও সময় আছে আমাদের হাতে।
কিন্তু এভাবেই চললে আমাদের মেনে নিতেই হবে পৃথিবীর প্রতিশোধকে।
নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট বদল আনতে হবে, ছোট ছোট পদক্ষেপের মাধ্যমে।
আর এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজ মিলেই গড়ে তুলতে পারে
এক মহৎ পরিবর্তন।
সর্বোপরি-
আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রাই হওয়া উচিৎ পরিবেশবান্ধব।
আমরাই পারি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে
এক সুস্থ-সবল পৃথিবীকে রেখে যেতে।
মনে রাখতে হবে, আমাদের আসল ঘর কিন্তু একমাত্র এই পৃথিবীই।
সেই ঘর নিশ্চিহ্ন মানেই আমাদের অস্তিত্ব শেষ!!
আমাদের অজুহাতের ভাণ্ডার কিন্তু অশেষ-
সময় নেই, সুযোগ নেই, দায়িত্ব কারো না, আমিই বা একা কি করতে পারি?
কিন্তু মনে রাখতে হবে-
পৃথিবী ধ্বংসের দায় একা আপনার-আমার নয়।
আমাদের প্রত্যেকের খণ্ড দায়িত্ব মিলে তৈরি করছে এই বিশাল বিপর্যয়।
আজকের শিশু যদি আগামীকাল বিষাক্ত বাতাসে প্রথম শ্বাস নেয়,
তবে সে দায় কার?
আপনার? আমার?
না কি, সেই শিশুটার, যে জন্মেই পেল না বাঁচার ন্যূনতম অধিকারটুকু?
যেদিন শিশুর প্রথম খেলনা হবে ইনহেলার-
সেদিন সভ্যতা দোষারোপ করবে কাকে?
শিল্প কারখানার ধোঁয়াকে, না কি রাজনীতির মঞ্চে বসে থাকা নির্বিকার নেতাদের?
না কি আমাদেরই-
যারা আজও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে কৃত্রিম আরামে হারাচ্ছি
বাস্তবের ভয়াবহতা?
প্রকৃতি কিন্তু সবার জন্য সমান।
আপনি শহরে থাকুন, বা গ্রামে, বা মফস্বলে।
আপনি ধনী হন, বা হন দরিদ্র-
ঝড়, বন্যা, ভূমিকম্প, অর্থাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিপর্যয়
কিন্তু আদৌ মানে না কোনও ভেদাভেদ।
তখন কোটিপতির অট্টালিকা যেমন গুঁড়িয়ে যাবে মাটিতে,
গরিবের কুঁড়েঘরও ঠিক তেমনই মিশে যাবে মাটির সাথে।
পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে,
কিন্তু কমছে আমাদের সহ্যশক্তি।
শিশুরা অসুখে ভুগছে,
প্রাণীরা হারাচ্ছে নিজেদের বাসস্থান।
কৃষক হারাচ্ছে ফসল-
আর আমরা?
নিজেদের অজান্তেই সভ্যতার নাম দিয়ে প্রতিদিন
আরো একটা করে পেরেক ঠুকছি নিজেদের কফিনে।
আজ মাথা চাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে একটাই প্রশ্ন-
আমরা কি থামবো?
না কি এই দৌড়ে ছুটে গিয়ে শেষ অবধি
নিজেদের ধ্বংসকেই ভাববো উৎস?
আমাদের মনে রাখা দরকার, পৃথিবী কিন্তু মারা যাবে না,
সে তার নিজের ভারসাম্য ফেরাবে যেভাবেই হোক।
নিশ্চিহ্ন হব শুধু আমরা,
আর আমাদের ভুলে বিভিন্ন গাছ-লতা থেকে অন্যান্য পশু-পাখি।
আমাদের সাধের শহর, গ্রাম, ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস
সব হারিয়ে যাবে কালের গর্ভে।
পৃথিবী কিন্তু থাকবে সেদিনও, কিন্তু আমাদের ছাড়া।
তাহলে কি চাই আমরা?
একদিন নিজেদের নাম স্মৃতিস্তম্ভে খোদাই করা-
“এরাই ছিল পৃথিবীর শেষ প্রজন্ম?”
তন্ময় সিংহ রায়
মানবতার মন্দিরে ধর্ম এক সুর সে মানুষ হিন্দু হোক, মুসলমান হোক, কিংবা হোক বৌদ্ধ, জৈন…
হারানো সভ্যতার নিঃশ্বাস ঘন জঙ্গলের বুক চিরে দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন পাথরের দেয়াল; লতা-গুল্ম যেন সময়ের…
রাজনীতি এখন ধর্ম নয়, রক্তচাপ মানুষ এখন শুধু ভোটে রাজনীতি করে না– রাগে, ভালোবাসায়, ঘুমে,…
ঈশ্বর আছেন, না নেই?– ন্যায়ের খাঁড়ায় বিশ্বাস ও অস্থিরতা মানুষের মন বহুবার একই জায়গায় এসে…
পৃথিবীঃ এক ঘূর্ণনশীল অবিরাম রহস্যের জন্মভূমি পৃথিবী আমাদের জন্মভূমি, এক অবিরাম রহস্যের ঘূর্ণায়মান গ্রহ। আমরা…