মানুষের ভিতরের নীরবতা আর ঈশ্বরীয় আলোর মিলন-অস্তিত্বের প্রতীকী প্রতিচ্ছবি.
একদিন নীরব ঈশ্বর, হিসেবি মানুষ মুখোমুখি হল-
ঈশ্বর ফিরে তাকালেন না,
তাঁর চোখের পাতা পড়ল না-
আর ঠিক সেইদিনই মানুষ হয়ে উঠল ঈশ্বর।
সে বানাল ন্যায়-নীতি, সাজালো বিচার,
লিখে ফেলল পাপের সংজ্ঞা।
(সত্যি ভালোবাসার প্রভাব একজন মানুষের জীবনের
শেষ পর্যন্ত প্রভাব ফেলতে পারে ঠিক কি পরিমাণে?
জানতে হলে পড়তে পারেন নিচের লেখাটা।)
কিন্তু ইশ্বর হতে গিয়ে মানুষ ভুলে গেল-
ইশ্বর ছিলেন নিঃশর্ত; মানুষ নয়।
মানুষ চায় পূজা, প্রতিদান,
চায় জবাবদিহি।
তাই আজ ‘ভালো কাজ’ও হয় ক্যামেরার ফ্ল্যাশে,
আর প্রার্থনা দাঁড়ায় এক অলিখিত লেনদেন হয়ে।
তুমি দাও, আমি মানি।
তুমি চুপ থাকো,
আমি অন্য ভগবান খুঁজি।
আমরা বিশ্বাস করি না ইশ্বরে-
আমরা ভয় পাই ঈশ্বরহীনতায়।
কারণ তাঁর অনুপস্থিতিই প্রমাণ করে-
আমরা আসলেই সম্পূর্ণ একা, ভয়ঙ্করভাবে একা!
তাই আমরা গড়ে তুলি মন্দির,
গড়ি মসজিদ, গির্জা।
পাথরের দেওয়ালে বন্দি করি
অদৃশ্য সত্ত্বাকে।
কিন্তু গভীর রাতে, নীরবতার ভিতরে,
আমাদের কান কাঁপে নিজের হৃদস্পন্দনের শব্দে-
যেন সেটাই একমাত্র প্রার্থনা, একমাত্র ঈশ্বর।
আমরা প্রশ্ন করি, উত্তর পাই না-
তবুও প্রশ্ন করাটাই যেন আমাদের ধর্ম।
কারণ নিরব ঈশ্বরের অভাবে,
আমরা ভেঙে পড়ি
নিজের ভিতরের শূন্যতায়,
যা কোনও মন্দির,
কোনো প্রার্থনায় ভরাট হয় না।
তন্ময় সিংহ রায়
মানবতার মন্দিরে ধর্ম এক সুর সে মানুষ হিন্দু হোক, মুসলমান হোক, কিংবা হোক বৌদ্ধ, জৈন…
হারানো সভ্যতার নিঃশ্বাস ঘন জঙ্গলের বুক চিরে দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন পাথরের দেয়াল; লতা-গুল্ম যেন সময়ের…
রাজনীতি এখন ধর্ম নয়, রক্তচাপ মানুষ এখন শুধু ভোটে রাজনীতি করে না– রাগে, ভালোবাসায়, ঘুমে,…
ঈশ্বর আছেন, না নেই?– ন্যায়ের খাঁড়ায় বিশ্বাস ও অস্থিরতা মানুষের মন বহুবার একই জায়গায় এসে…
পৃথিবীঃ এক ঘূর্ণনশীল অবিরাম রহস্যের জন্মভূমি পৃথিবী আমাদের জন্মভূমি, এক অবিরাম রহস্যের ঘূর্ণায়মান গ্রহ। আমরা…