Prose Poetry

হিংসের গর্ভে মানুষ!

অর্ধেক সাদা ফুল ও অর্ধেক ধ্বংসাবশেষ, মানুষের হিংসের আগুনের বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত একটা শিকড়যুক্ত গাছ। নিচে, ডানদিকে একজন মানুষই আবার তা আলোকিত স্ক্রিনে দেখছে।

মনের জরায়ুতে জন্ম নেয় যে হিংসে, তা হাত-পা ছোড়ে না, নিঃশব্দে জন্ম নেয়, কিন্তু বিস্ফোরণ বোঝা যায়, যেন অদৃশ্য আগ্নেয়গিরি। অন্তর্লোকের গভীরে, একটা একটা করে মেঘ জমে, এর পরই বজ্রপাত। যার জন্মায়, সে হয়তো নিজেও জানে, একটু একটু করে পোড়ায় নিজেকেই, তবুও জন্মায়, যেন জন্মাতে হয়। আবার হয়তো জানেও না, …

Read More »

যে প্রদীপ নিভেও জ্বালিয়ে রেখে গেল আদর্শের আলো!

গায়ক জুবিন গর্গ-এর এক প্রতীক রূপ কনসার্টে মাইক্রোফোন হাতে গান গাইছেন। হাতে গীটার, ব্যাকগ্রাউন্ডে দর্শক।

নিভে গেল সেই প্রদীপ, যা শব্দে নয়, কর্মে লিখে গেল মানবতার ইতিহাস। যা নেভার, তা নেভে পরে। এটা ঘোর কলির এক বাজে স্বভাব। নিভে গেল সেই শিখা, যা শুধু কণ্ঠস্বর নয়, প্রতিফলিত হয় মানুষের হৃদয়ে। যেখানে মিথ্যার ভারে চাপা পড়ে থাকে, সত্যের ক্ষত-বিক্ষত দেহ। যেখানে রাজনীতিবিদ খোঁজে পদ, ক্ষমতা, খ্যাতি …

Read More »

শেষ প্রজাতির প্রতিচ্ছবি!

এক মহাজাগতিক নারী, যার এক চোখে চাঁদ ও হাতে পরমাণু, হৃদয়ে শূন্যতা। সে ধ্বংসাবশেষের উপরে দাঁড়িয়ড়িয়ে, যা আধুনিক মানুষের অস্তিত্বের উদ্দেশ্যহীনতাকে তুলে ধরে।

একদিন পৃথিবী চুপ করে যাবে, যেমন হঠাৎ থেমে যায় ঘড়ির কাঁটা। অথচ সময় থেকে যায় এর পরেও। মানুষ, যে একসময় আকাশ মেপেছিল চোখে, সে একদিন তাকাবে নিজেরই ধ্বংসের দিকে। অবাক হয়ে, যেন প্রথমবার কিছু দেখছে। তখন মাটির গন্ধে থাকবে না চাষির ঘাম, থাকবে শুধু পোড়া ধুলোর স্বাদ। বাতাস বইবে। কিন্তু …

Read More »

মনের গোলকধাঁধাঁ!

একটা দ্বৈত ফ্যান্টাসি দৃশ্য। মাঝের গেটওয়ের দু'পাশে আলো ঝলমলে স্বর্গীয় পথ ও লাভা প্রবাহিত অন্ধকার নরক পথ। একজন সাধু মাঝের পথে হাঁটছেন, উপরে দুই বিশাল তলোয়ারধারী মূর্তি।

মন এক অনন্ত ভ্রমনপথ, যেখানে প্রতিটা চিন্তা জন্মায় আলোয়, আর মরে অন্ধকারে। কখনও সে শিশুর মত সরল, আবার হঠাৎই সে পাথরের মত স্থির, অনুভূতিহীন। আমি নিজেই নিজের ভিতরে হেঁটে বেড়াই, একেকটা স্মৃতি যেন দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, যার গায়ে খোদাই করা– “এখানে কেঁদেছিলে।” আরেক দেয়ালে লেখা– “এইখানে হেসেছিলে নির্দ্বিধায়!” মন …

Read More »

উৎসবের আনন্দে চাপা পড়া এক বাবার ছবি!

উৎসবের ভিড়ে একজন গরিব বাবা তাঁর মেয়েকে কাঁধে নিয়ে ঠাকুর দেখাতে বেরিয়েছেন। চারপাশে বিভিন্ন খাবারের দোকানের কোনো এক দোকানে কিছু খাওয়ার জন্যে তাঁর ছোট্ট মেয়েটা আঙুল তুলেছে।

উৎসবের ভিড়ে প্রদর্শনঃ উৎসবের ভিড়ে সবাই আজ দর্শক নয়। অনেকে ভীষণ ব্যস্ত দেখাতে। নতুন পোশাক, দামি পারফিউম, ক্যামেরায় কৃত্রিম হাসি, সবকিছু যেন অন্যকে বোঝানোর জন্যে। মন বলছে, এত খরচ, এত পরিশ্রম, দেখবে না কেন? যেন আনন্দ নয়, প্রতিযোগিতা চলছে প্রমাণ করার। যেন প্রতি পাঁচ কদমে একেকটা ফ্যাশন শো। সবার চোখের …

Read More »

শ্রদ্ধেয় নেতাজী, তোমাকে খোলা চিঠি!

নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু সামরিক পোশাকে একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিকৃতি, যেখানে পটভূমিতে ভারতীয় পতাকা সূক্ষ্মভাবে দৃশ্যমান, যা মর্যাদা ও নেতৃত্বের ভাব প্রকাশ করে।

প্রথমেই তোমাকে জানাই নত মস্তকে প্রণাম, হৃদয়ের আধার ভরা অগাধ শ্রদ্ধা ও অন্তহীন ভালোবাসা!! হে মানবরূপী ঈশ্বর- তোমার জীবনপ্রবাহের ক্ষুদ্র এক কণামাত্র স্পর্শ করতে পারি, এ যোগ্যতা আজও হয়নি। তবু দূর থেকে উত্তর খুঁজে ফিরি- মানুষের শরীরে দেবত্ব কাকে বলে? ভাবি নীরবে- কেমন স্পন্দিত হয় দেবতার হৃদয়? হে ত্রিকালদর্শী- তোমার …

Read More »

ধর্মের আগুনে মানবতার ছাই!

ধর্ম যখন সবকিছুর উপরে হয়, তখন এভাবেই ধর্মের আগুনে পুড়ে ছাই হয় ভালোবাসার সুখ, স্বপ্ন।

শুনেছি নাকি মানুষ জন্মায় মাটি থেকে, কিন্তু কেউ কেউ নাকি সোনা আর রূপোর খনিতে ফোটে। তাই বুঝি কেউ কারও হাত ধরতে গেলেই আগে দেখা হয় তাঁর শিকড়ের রং। একসাথে হাঁটার সাহস করেছিলাম। ওরা এসে বলল, হাঁটবে তো হাঁটো, কিন্তু আলাদা রাস্তা ধরে। এক রাস্তার নাম ‘উত্তম পথ,’ আরেকটার নাম ‘ভ্রান্তি …

Read More »

সংখ্যার আলোয়, অন্ধকারে ডুবে যাওয়া শৈশব!

শিশুর শৈশব হারানো বাবা-মায়ের চাপ, সার্টিফিকেট আর প্রতিযোগীতার ফাঁদে বন্দী এক শিশু।

আজকের বাবা-মা সন্তানকে গড়ে তুলেছে যন্ত্রে। প্রতিটা দিন, প্রতিটা নিঃশ্বাস, হিসেবের মধ্যে বন্দি। শখ আর আনন্দকে সরিয়ে দিয়েছে প্রতিযোগিতার ফাঁদ। শৈশব ধীরে ধীরে কণ্ঠহীন হয়ে যাচ্ছে। গান, নাচ, আঁকা – সবই রূপান্তরিত হয়েছে সার্টিফিকেটে। ভালোবাসা নেই, শুধু ফলাফলের চাপ। শিশুর চোখে আর নেই আকাশ, আছে শুধু সংখ্যার আলো। হার মানে …

Read More »

শহুরে কোলাহলে শৈশবের স্মৃতি!

এক প্রতীকী শিল্পচিত্র, যেখানে জানালার একপাশে ব্যস্ত শহরের কোলাহল, অন্যপাশে গ্রামের শান্ত সন্ধ্যা; মাঝে মানুষরূপে এক নারীর মুখে ফুটে উঠেছে হারানো শৈশবের নস্টালজিয়া।

শহরের নিরন্তর কোলাহলের ভিড়ে, বুকের গভীর থেকে হঠাৎই জেগে ওঠে এক নিঃশব্দ হাহাকার! হঠাৎই ভারী হয়ে ওঠে বুকটা। বুঝতে পারি, অদৃশ্য হলেও, দাঁড়িয়ে আছে কেউ, কিছু বলতে চায় সে। হঠাৎ কানে ভেসে আসে প্রশ্নের মত- “তুমি কি শুনতে পাও আজ, বাঁশবনের ফাঁক দিয়ে ভেসে আসা ছেলেবেলার সেই দূরন্ত ডাক? কানে …

Read More »

একদিন থেমে যাবে সবকিছু!

একটা কাল্পনিক দৃশ্য, যেখানে একজন মানুষ মেঘের উপর দিয়ে একটা সেতু ধরে আলোর দিকে হেঁটে যাচ্ছে। তাঁর চারপাশের বুদবুদের মধ্যে বিভিন্ন মানুষের জীবন ও অসমাপ্ত কাজ ভেসে বেড়াচ্ছে। সামনে রাখা আছে একটা ভাঙা বাটি ,যার ফাটল আছে, কিন্তু সেগুলো সোনালী রঙে পূর্ণ।

একদিন সব থেমে যাবে। যে দৌড় আজ এত জরুরি মনে হয়, সে দৌড় একসময় দাঁড়িয়ে থাকবে অচল হয়ে। সময় তখন আমাদের হাতে থাকবে না, আমরা থাকব সময়ের হাতে- একটা ক্ষণিকের শ্বাসের মত। অসমাপ্ত কথারা ঝুলে থাকবে বাতাসে, অপূরণীয় স্বপ্নগুলো ছিঁড়ে যাবে মেঘের মত- আকাশ জুড়ে ভেসে বেড়াবে, এরপর ধীরে ধীরে …

Read More »

Join Our Newsletter

We don’t spam! Read our privacy policy for more info.