আজকের বাবা-মা সন্তানকে গড়ে তুলেছে যন্ত্রে।
প্রতিটা দিন, প্রতিটা নিঃশ্বাস, হিসেবের মধ্যে বন্দি।
শখ আর আনন্দকে সরিয়ে দিয়েছে প্রতিযোগিতার ফাঁদ।
শৈশব ধীরে ধীরে কণ্ঠহীন হয়ে যাচ্ছে।
গান, নাচ, আঁকা – সবই রূপান্তরিত হয়েছে সার্টিফিকেটে।
ভালোবাসা নেই, শুধু ফলাফলের চাপ।
শিশুর চোখে আর নেই আকাশ,
আছে শুধু সংখ্যার আলো।
হার মানে আত্মসম্মান ভাঙা,
আর জয় মানে অন্য কারও স্বপ্ন ভাঙা।
বুদ্ধি বাড়ছে, কিন্তু হৃদয় শুকিয়ে যাচ্ছে।
হাসি হয়ে গেছে বাজারের পণ্য।
মানবিকতা মিলছে শূন্যে।
সাহসিকতা থাকবে না;
থাকবে কেবল অনুমোদিত পথ।
সৃজনশীলতা লুকানো হবে,
আর স্বাধীন চিন্তা হবে নিষিদ্ধ।
ভবিষ্যতের শহর ভরে উঠবে নিঃস্বপ্ন মানুষে।
শিশুরা বড় হবে, কিন্তু মানুষ হয়ে উঠবে না।
প্রতিটা সম্পর্ক হবে বিনিময়যোগ্য।
নিশ্বাসে থাকবে প্রযুক্তির ঠাণ্ডা ছোঁয়া।
সমাজ এগোচ্ছে, মানবতা হারাচ্ছে।
বাবা-মা জয়ী হবে, সন্তান হেরে যাবে।
ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল দেখাবে,
কিন্তু ভিতরে থাকবে শূন্যতা।
হাসি থাকবে, কিন্তু কৃত্রিম।
শব্দ থাকবে, কিন্তু কথা হবে শূন্য।
মানবতা থাকবে না, শুধু বুদ্ধি আর হিসেব।
একদিন বোঝা যাবে-
শিশুরা বড় হলেও,
ধীরে ধীরে পৃথিবী হয়ে গেছে খালি।
তন্ময় সিংহ রায়