পৃথিবীঃ এক ঘূর্ণনশীল
অবিরাম রহস্যের জন্মভূমি
পৃথিবী আমাদের জন্মভূমি, এক অবিরাম রহস্যের ঘূর্ণায়মান গ্রহ।
আমরা এর চারপাশে তাকাই– দিনলিপি, ইতিহাস এবং অভিজ্ঞতার আড়ালে;
কিন্তু এর প্রকৃত ব্যাপ্তি কখনও পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারি না।
জন্মের সঙ্গে আমরা পরিচিত হই সীমিত স্থান, পরিচিত কিছু নির্দিষ্ট মুখ;
ও পরিচিত শব্দের সাথে।
কিন্তু পৃথিবী এর অসীমতায় আমাদের অবাধ্য থাকে চিরকাল।
প্রতিটা মানুষেরই নিজস্ব জগৎ আছে–
একটা ক্ষুদ্র বাস্তবতা, যেখানে চিন্তা, অনুভূতি, বিশ্বাস এবং স্বপ্ন ছড়িয়ে থাকে।
আমরা জন্মাই, বড় হই, স্মৃতি, অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জন করি;
তবু জীবন আমাদের চ্যালেঞ্জ করে–
সীমার বাইরে যা আছে, তা অজানা থেকেই যায়।
পৃথিবীর বৈচিত্রঃ
ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের মেলবন্ধন
বর্তমানে পৃথিবীতে মোট ১৯৫ টা দেশ আছে,
যার মধ্যে জাতিসংঘ স্বীকৃত দেশের সংখ্যা ১৯৩,
বাকি ২, ভ্যাটিকান সিটি ও প্যালেস্তাইন আংশিক স্বীকৃত রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত।
প্রতিটা দেশের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং মানুষের অভিজ্ঞতার অগণিত স্তর রয়েছে।
প্রাচ্যের মন্দিরের শাস্ত্রের সুর, পশ্চিমের গির্জার প্রার্থনার ধ্বনি,
মধ্যপ্রাচ্যের মসজিদে আজানের ডাক, আফ্রিকার ঢোলের তালে নৃত্য,
জাপানের মন্দিরে নিঃশব্দ লণ্ঠনের আলো– এ সবই আমাদের মনে করিয়ে দেয়,
আমরা শুধু এই পৃথিবীতে কিছুদিনের অতিথি মাত্র।
প্রতিটা ঐতিহ্য, প্রতিটা আচার-অনুষ্ঠান, প্রত্যেকটা সৃষ্টি,
আমাদের অস্তিত্বের সীমা এবং সম্ভাবনার কথা বলে।
( যে পৃথিবী তার বুকে বসিয়ে, ভালোবেসে,
২ থেকে ৩ লক্ষ বছর ধরে আমাদের যত্নে লালন করে আসছে,
সেই পৃথিবীর বুকের ভিতরেই আজ আমরা পরজীবী ব্যাকটেরিয়া?
পড়ুন– Click: ICU তে পৃথিবীঃ মানুষ কি তবে পরজীবী ব্যাকটেরিয়া? )
প্রকৃতির বিস্ময়ঃ
অস্তিত্বের প্রতিচ্ছবি
পৃথিবীর প্রাকৃতিক বৈচিত্র ও বিশালতা আমাদের শেখায়–
মানুষ ক্ষুদ্র হলেও জীবনের অর্থ সীমাহীন।
উত্তরের বরফে ঢাকা পাহাড়, দক্ষিণের উষ্ণ বনাঞ্চল, পূর্বের নদী ও জলপ্রপাত,
পশ্চিমের সমুদ্রসৈকত– প্রতিটা কোণ পৃথিবীর রহস্যময় বিস্তৃতি প্রকাশ করে।
এই দৃশ্যগুলো আমাদের শেখায়–
জীবন সীমিত হলেও তা গভীরভাবে উপলব্ধি করা সম্ভব।
ভিন্নতার মধ্যে সংযোগ
এছাড়া, ভিন্নতা এবং সংযোগের মধ্যে সম্পর্ক বোঝার ক্ষেত্রেও পৃথিবী শিক্ষক।
নানান ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি এবং রঙ থাকলেও আমরা একই সূর্যের আলোয় উদিত হই,
একই মাটিতে হাঁটি।
এই অভিজ্ঞতা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, পৃথকতা সত্ত্বেও,
আমরা একই অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা।
পৃথিবীঃ এক অসীম জ্ঞানের বিদ্যালয়
পৃথিবী শুধু ভ্রমণের স্থান নয়, এটা একটা অসীম জ্ঞান,
একটা বিশাল উপলব্ধি, অভিজ্ঞতা।
এটা আমাদের শেখায় সীমাবদ্ধতা মানা, রহস্যের সাথে সহাবস্থান করা,
এবং জীবনের গভীরতা উপলব্ধি করা।
প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা দৃশ্য, প্রতিটা সংস্পর্শ আমাদের অন্তর্দৃষ্টিকে প্রসারিত করে।
আর এই উপলব্ধিই আমাদের ছোট,
অথচ মূল্যবান অস্তিত্বকে সত্যি অর্থে বোধগম্য করে তোলে।
বর্তমান পৃথিবীর সংক্ষিপ্ত পরিচয়
এবারে জেনে নেওয়া যাক,
আমাদের সমগ্র পৃথিবীর দেহ জুড়ে কোন কোন মহাদেশ ছড়িয়ে আছে।
এর অধীনেই বা আছে ঠিক কোন কোন রাষ্ট্র, কি তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয়।
এশিয়া
মোট দেশ– ৪৯
উল্লেখযোগ্য অঞ্চলঃ
দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব এশিয়া, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম এশিয়া।
দেশসমূহঃ
আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বাংলাদেশ, ভুটান,
ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, চীন, সাইপ্রাস, জর্জিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া,
ইরান, ইরাক, ইসরায়েল, জাপান, জর্ডান, কাজাখস্থান, কুয়েত,
কিরগিজস্তান, লাওস, লেবানন, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ,
মঙ্গোলিয়া, মায়ানমার, নেপাল, উত্তর কোরিয়া, ওমান, পাকিস্তান,
ফিলিপাইনস, কাতার, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা,
সিরিয়া, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তিমোর-লেস্তে,
তুরস্ক (আংশিক ইউরোপে), তুর্কমেনিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত,
উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম, ইয়েমেন।
আফ্রিকা
মোট দেশ– ৫৪
দেশসমূহঃ
আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, বেনিন, বতসোয়ানা, বুর্কিনা ফাসো,
বুরুন্ডি, কেপ ভার্দে, ক্যামেরুন, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, চাদ,
কোমোরোস, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র,
জিবুতি, মিশর, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, এরিত্রিয়া, এসওয়াতিনি,
ইথিওপিয়া, গ্যাবন, গাম্বিয়া, ঘানা, গিনি, গিনি-বিসাউ, আইভরি কোস্ট,
কেনিয়া, লেসোথো, লাইবেরিয়া, লিবিয়া, মাদাগাস্কার, মালাওয়ি,
মালি, মৌরিতানিয়া, মরিশাস, মরক্কো, মোজাম্বিক, নামিবিয়া,
নাইজার, নাইজেরিয়া, রুয়ান্ডা, সাও টোমে অ্যান্ড প্রিন্সিপে, সেনেগাল,
সেশেলস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ সুদান,
সুদান, তানজানিয়া, টোগো, তিউনিসিয়া, উগান্ডা, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে।
ইউরোপ
মোট দেশ– ৪৪
দেশসমূহঃ
আলবেনিয়া, অ্যান্ডোরা, অস্ট্রিয়া, বেলারুশ, বেলজিয়াম, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা,
বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, চেকিয়া (চেক প্রজাতন্ত্র), ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড,
ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি,
কসোভো (আংশিক স্বীকৃত রাষ্ট্র) , লাটভিয়া, লিচেনস্টাইন, লিথুয়ানিয়া,
লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মলদোভা, মোনাকো, মন্টেনেগ্রো,
নেদারল্যান্ডস, উত্তর মেসিডোনিয়া, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া,
রাশিয়া (আংশিক এশিয়ায়), সান মারিনো, সার্বিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন,
সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য, ভ্যাটিকান সিটি।
উত্তর আমেরিকা
মোট দেশ– ২৩
দেশসমূহঃ
অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, দ্য বাহামাস, বার্বাডোস, বেলিজ, কানাডা, কোস্টা রিকা,
কিউবা, ডমিনিকা, ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র, এল সালভাদর, গ্রেনাডা, গুয়াতেমালা,
হাইতি, হনডুরাস, জ্যামাইকা, মেক্সিকো, নিকারাগুয়া, পানামা, সেন্ট কিটস ও নেভিস,
সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ আমেরিকা
মোট দেশ– ১২
দেশসমূহঃ
আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, গায়ানা, প্যারাগুয়ে,
পেরু, সুরিনাম, উরুগুয়ে, ভেনেজুয়েলা।
ওশিয়ানিয়া
মোট দেশ– ১৪
দেশসমূহঃ
অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, কিরিবাতি, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু,
নিউজিল্যান্ড, পালাউ, পাপুয়া নিউগিনি, সামোয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, টোঙ্গা,
টুভালু, ভানুয়াতু।
অ্যান্টার্কটিকা
মোট দেশ– ০
দেশহীন বরফের মহাদেশ।
এখানে রয়েছে শুধু আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্র।
নিস্তব্ধ, বরফের পুরু পাহাড়ে ঢাকা এই মহাদেশে সময়ও যেন থমকে দাঁড়িয়ে যায়।
চারিদিক জুড়ে এক মহাশূন্যতা,
ও হাড় কাঁপানো শীতল বাতাস যেন এর অহঙ্কারের সীমা ছুঁয়েছে।
প্রকৃতির সর্বোচ্চ শক্তি এখানে প্রতিফলিত, মানুষের পা এখানে খুব কম পড়ে।
বরফের সাদা সমুদ্র আর নিঃশেষ শীতলতা আমাদের মনে করিয়ে দেয়–
পৃথিবীর সব রহস্য এক জায়গায় লুকানো থাকে,
যেখানে কোনও পতাকা, কোনও রাষ্ট্র, কোনও নাম নেই।
পেঙ্গুইন, সীল সামুদ্রিক মাছ, দূরবর্তী তিমি ও বিশালদেহী সমুদ্রপক্ষী আলবাট্রস,
এরাই হল এই মহাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা।
এ মহাদেশকে রক্ষা করা মানে কেবল বরফের শৃঙ্খলা রক্ষা নয়,
বরং পুরো পৃথিবীর প্রাণ, জলবায়ু ও জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
অর্থাৎ যদি বরফের এই বিশাল সাম্রাজ্য বাঁচে, বেঁচে যাবে পৃথিবীর হৃদয়ও।
অসীম বৈচিত্রে ভরা এ পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশ, প্রতিটা অঞ্চল,
এমনকি প্রতিটা ছোট্ট দ্বীপেরও নিজস্ব পরিচয়, সংস্কৃতি ও বিষ্ময় আছে।
এখানে আমরা এক নজরে দেখে নেব বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কিছু অদ্ভুত,
ও চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্য।
( কিন্তু বিজ্ঞানের এই আশীর্বাদই,
আজ সমগ্র পৃথিবীর মানুষের কাছে এসে দাঁড়িয়েছে,
এক ভয়ঙ্কর অভিশাপ হয়ে।
আর প্রকৃতির শরীর জুড়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত ক্ষত হয়ে।
পড়ুন– Click: প্লাস্টিকের আবিষ্কার আজ কিভাবে হল পৃথিবীর ভয়ঙ্কর অভিশাপ? )
এশিয়া (৪৯ দেশ)
আফগানিস্তান
প্রাচীন রাস্তাঘাট ও পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে ভ্রমণ,
যেখানে প্রকৃতি ও ইতিহাসের সংমিশ্রণ চোখে পড়ে।
আর্মেনিয়া
প্রাচীনতম খ্রিস্টান রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটা,
যেখানে মনোরম পাহাড় আর প্রাচীন মঠের মিলন ঘটে।
আজারবাইজান
“অগ্নির দেশ” হিসেবে পরিচিত,
কারণ এখানে প্রাকৃতিক গ্যাসের আগুন পাহাড় থেকে বের হয়।
বাহরাইন
মধ্যপ্রাচ্যের ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্র,
যেখানে মরুভূমির সৌন্দর্য এবং আধুনিক শহরের মিলন ঘটে।
বাংলাদেশ
বিশ্বের অন্যতম বড় নদীমালা,
পদ্মা, মেঘনা, যমুনার সমন্বয়ে সমৃদ্ধ নদীপ্রবাহের দেশ।
ভুটান
“সুখের সূচক” নিয়ে বিখ্যাত,
যেখানে জীবনধারার মূল উদ্দেশ্য হল মানসিক শান্তি।
ব্রুনেই
সমৃদ্ধ তেলের দেশে রাজপরিবারের দানশীলতা,
ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ইসলামিক স্থাপত্য চোখে পড়ে।
কম্বোডিয়া
প্রাচীন অঙ্গকর ওয়াট মন্দির, যা বিশ্বের বৃহৎ ধর্মীয় নিদর্শনগুলোর একটা।
চীন
পুরো ইতিহাসে প্রাচীন সভ্যতা,
মাউন্ট এভারেস্টের নিকটবর্তী ভূখণ্ড এবং বৃহৎ জনসংখ্যার দেশ।
সাইপ্রাস
গ্রীক ও তুর্কি সংস্কৃতির মিলিত প্রভাব, প্রাচীন পৌরাণিক কাহিনী ও সমুদ্র সৈকত।
জর্জিয়া
ক্যাকাসিয়ান পাহাড় ও প্রাচীন খ্রিস্টান মঠের দেশ,
যেখানে ঐতিহ্যবাহী আঙুর চাষ জনপ্রিয়।
ভারত
বহু ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্মের মিলনস্থল; তাজমহল, হিমালয়সহ বৈচিত্রময় দেশ।

ইন্দোনেশিয়া
প্রায় ১৭ হাজার দ্বীপ, সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ও প্রাণবৈচিত্রের দেশ।
ইরান
প্রাচীন পারস্য সভ্যতার কেন্দ্র, মরুভূমি ও পাহাড়ের অনন্য মেলবন্ধন।
ইরাক
মেসোপটেমিয়ার জন্মভূমি, যেখানে ইতিহাস ও সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে।
ইসরায়েল
প্রাচীন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র,
যেখানে তাজা ইতিহাস এবং আধুনিক শহরের মিশ্রণ।
জাপান
রোবট প্রযুক্তি ও প্রথাগত উৎসবের সমন্বয়,
যা দেশটাকে আধুনিক ও ঐতিহ্যবাহী করে তোলে।
জর্ডান
মৃত সাগর ও পেট্রাররাখ প্রাচীন নগরীর জন্যে পরিচিত।
কাজাখস্তান
বিশাল তৃণভূমি এবং মহাকাশ উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের জন্যে খ্যাত।
কুয়েত
বড় তেলসম্পদ, মরুভূমি ও আধুনিক স্থাপত্যের মিলন।
কিরগিজস্তান
পাহাড়ি ল্যান্ডস্কেপ ও ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াচালিত জীবনধারা।
লাওস
নদী, জলপ্রপাত ও বৌদ্ধ মঠের শান্তিপূর্ণ দেশ।
লেবানন
প্রাচীন ফিনিশীয় স্থাপত্য ও বৈচিত্রময় খাদ্যসংস্কৃতির দেশ।
মালয়েশিয়া
ত্রিপক্ষীয় (মালয়, চীনা, ভারতীয়) সংস্কৃতি, দ্বীপ ও উষ্ণ বনাঞ্চলের দেশ।
মালদ্বীপ
বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটা,
সমুদ্রসৈকত ও প্রবালদ্বীপের জন্যে খ্যাত।
মঙ্গোলিয়া
বিশাল মরুভূমি, ঘোড়াচালিত নোমাড জীবন এবং চেঙ্গিস খানের ঐতিহাসিক ভূমি।
মায়ানমার
প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির ও গোল্ডেন প্যাগোডার জন্যে সুপরিচিত।
নেপাল
মাউন্ট এভারেস্টসহ পাহাড়ি সৌন্দর্য,
যা পৃথিবীর “ছাদের তলা” হিসেবে পরিচিত।
উত্তর কোরিয়া
বিরল, নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রব্যবস্থা ও অদ্ভুত শহুরে পরিকল্পনা।
ওমান
প্রাচীন মরু সমুদ্রসৈকত, যেখানে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিলন।
পাকিস্তান
ইতিহাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ,
যেমন করাচি, লাহোর ও হিমালয়ের সংমিশ্রণ।
ফিলিপাইনস
৭ হাজারের বেশি দ্বীপ ও প্রবাল দ্বীপপুঞ্জ,
যেখানে সমুদ্র জীবন ও বন্যপ্রাণী প্রচুর।
কাতার
প্রাকৃতিক গ্যাসের ধন ও অত্যাধুনিক নগরী কাঠামো।
সৌদি আরব
মক্কা ও মদিনার ইসলামিক পবিত্র স্থান; মরুভূমির বিশালতা।
সিঙ্গাপুর
ছোট অথচ আধুনিক শহর-রাষ্ট্র, যেখানে সবুজ নগর পরিকল্পনা অনন্য।
দক্ষিণ কোরিয়া
প্রযুক্তি, কে-পপ এবং ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সমন্বয়।
শ্রীলঙ্কা
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন বৌদ্ধ স্থাপত্য এবং চা বাগানের দেশ।
সিরিয়া
প্রাচীন শহর, বাজার ও ইতিহাসের জন্যে খ্যাত।
তাজিকিস্তান
পাহাড়ি ভূমি ও প্রাচীন রূপকথার দেশ।
থাইল্যান্ড
উষ্ণ সমুদ্রসৈকত, বৌদ্ধমন্দির ও রঙিন উৎসবের দেশ।
তিমোর-লেস্তে
ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্তিপূর্ণ জীবন।
তুরস্ক
ইউরোপ ও এশিয়ার সংযোগস্থল,
যেখানে প্রাচীন সভ্যতা ও আধুনিক নগরী মিলিত।
তুর্কমেনিস্তান
প্রাচীন শিলা মন্দির ও মরুভূমি, যেখানে রহস্যময় জীবনধারা।
সংযুক্ত আরব আমিরাত
আধুনিক আকাশচুম্বী অট্টালিকা এবং মরুভূমির সৌন্দর্য।
উজবেকিস্তান
মধ্য এশিয়ার প্রাচীন শহর, সিল্ক রোডের ঐতিহাসিক কেন্দ্র।
ভিয়েতনাম
উদ্ভিদবৈচিত্র, নদী ও উষ্ণ সমুদ্র সৈকত।
ইয়েমেন
প্রাচীন নগর ও মরুভূমি, যেখানে ইতিহাস ও সংস্কৃতি মিশে আছে।
প্যালেস্তাইন
ইতিহাস ও বিশ্বাসের গভীর মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকা এক অঞ্চল,
যেখানে প্রতিটা ইটেই লুকিয়ে আছে সংগ্রামের গল্প।
তাইওয়ান
প্রযুক্তি ও আধুনিক শিল্পে সমৃদ্ধ দ্বীপ রাষ্ট্র,
যেখানে ঐতিহ্য ও উদ্ভাবন একসাথে বিকশিত হয়েছে।
আফ্রিকা (৫৪ দেশ)
আলজেরিয়া
বৃহত্তম আফ্রিকান দেশ, সাহারা মরুভূমির বিশাল অংশ এখানে অবস্থিত।
অ্যাঙ্গোলা
হীরের দেশ, গৃহযুদ্ধ পেরিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে নতুন অর্থনীতিতে।
বেনিন
ভূতপ্রেত ও ভুডুর উৎপত্তিস্থল, পশ্চিম আফ্রিকার প্রাচীন রাজ্যগুলোর একটা।
বতসোয়ানা
হীরেতে সমৃদ্ধ, কিন্তু আফ্রিকার সবচেয়ে স্থিতিশীল গণতন্ত্রগুলোর একটা।
বুর্কিনা ফাসো
“সৎ মানুষের দেশ”– এমনই অর্থ এর নামের।
বুরুন্ডি
ছোট হলেও সাংস্কৃতিক উৎসব ও ঢোলের তালে অনন্য।
কেপ ভার্দে
আটলান্টিকে ছড়িয়ে থাকা আগ্নেয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ।
ক্যামেরুন
“মিনি আফ্রিকা” নামে পরিচিত–
পাহাড়, মরুভূমি ও রেইনফরেস্ট একসাথে আছে।
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র
দারিদ্রের মাঝেও এখানকার জঙ্গলভূমি (সাভান্না ও রেইনফরেস্টে ঘেরা),
আফ্রিকার হৃদয় বলে পরিচিত।
চাদ
বিশাল মরুভূমি ও সাহারা লেকের জন্য খ্যাত।
কোমোরোস
“সুগন্ধি দ্বীপ” নামে খ্যাত,
কারণ এখানকার ফুল থেকেই আসে বিশ্বখ্যাত সুগন্ধি তেল।
কঙ্গো ( গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র)
বিশ্বের অন্যতম খনিজসম্পদে ভরপুর দেশ।
কঙ্গো (প্রজাতন্ত্র)
কঙ্গো নদীর তীরে গড়ে ওঠা সুন্দর রাজধানী ব্রাজাভিল।
জিবুতি
লবণ হ্রদ ও আগ্নেয়ভূমির এক রহস্যময় মিশেল।
মিশর
পিরামিড, নীলনদ ও সভ্যতার আদিগন্ত শিকড়।
ইকুয়েটোরিয়াল গিনি
আফ্রিকার একমাত্র স্প্যানিশভাষী দেশ।
ইরিত্রিয়া
রেড সি উপকূলে অবস্থিত স্বাধীনতার দীর্ঘ সংগ্রামের দেশ।
এসওয়াতিনি (সোয়াজিল্যান্ড)
আফ্রিকার শেষ কয়েকটা রাজতন্ত্রের একটা।
ইথিওপিয়া
কফির জন্মভূমি, আর কখনও উপনিবেশ হয়নি।
গ্যাবন
জঙ্গল আর তেলসম্পদে ধনী, আফ্রিকার “সবুজ ফুসফুস” নামে খ্যাত।
গাম্বিয়া
আফ্রিকার ক্ষুদ্রতম মূলভূখণ্ডের দেশ, গাম্বিয়া নদীর পাশে অবস্থিত।
ঘানা
প্রথম উপনিবেশমুক্ত আফ্রিকান দেশ, স্বর্ণ ও কাকাও উৎপাদনে বিখ্যাত।
গিনি
প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, বিশেষত বক্সাইট।
গিনি-বিসাউ
দ্বীপ ও লবণাক্ত ম্যানগ্রোভে গড়া এক শান্ত দেশ।
আইভরি কোস্ট (কোত দিভোয়ার)
চকলেটের দেশ– বিশ্বের বৃহত্তম কোকো উৎপাদক।
কেনিয়া
সাফারি ও বন্যপ্রাণীর জন্য বিখ্যাত।
লেসোথো
পুরো দেশটাই পাহাড়ে ঘেরা, “আকাশের রাজ্য” বলা হয়।
লাইবেরিয়া
মুক্ত আফ্রিকান দাসদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত প্রথম স্বাধীন দেশ।
লিবিয়া
মরুভূমি ও তেলের দেশ, প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনে ভরা।
মাদাগাস্কার
বিশ্বের অনন্য প্রাণীজগৎ– যেখানে ৯০% প্রাণী শুধু এখানেই পাওয়া যায়।
মালাউই
“আফ্রিকার উষ্ণ হৃদয়” নামে পরিচিত, শান্ত ও অতিথিপরায়ণ মানুষ।
মালি
প্রাচীন টিমবাক্টুর ইতিহাস ও সাহারার বালির বিস্তৃত অঞ্চলের দেশ।
মৌরিতানিয়া
বালির ঢেউ আর মরুভূমির শহরগুলোয় রহস্যের আবেশ।
মরিশাস
নীল সমুদ্র ও আগ্নেয় পাহাড়ে ঘেরা স্বর্গীয় দ্বীপ।
মরক্কো
রঙিন বাজার, আটলাস পর্বত ও সাহারার মিলনস্থল।
মোজাম্বিক
দীর্ঘ সমুদ্রতট ও ভারত মহাসাগরের স্বপ্নময় দৃশ্য।
নামিবিয়া
বিশ্বের প্রাচীনতম মরুভূমি– নামিব মরুভূমি এখানেই।
নাইজার
সাহারার বিশাল অংশ জুড়ে বিস্তৃত এক শুষ্ক কিন্তু ঐতিহাসিক দেশ।
নাইজেরিয়া
আফ্রিকার জনবহুল দেশ ও “নলিউড” সিনেমা শিল্পের কেন্দ্র।
রুয়ান্ডা
“হাজার পাহাড়ের দেশ”, পুনর্জাগরণের এক উদাহরণ।
সাও টোমে অ্যান্ড প্রিন্সিপে
ক্ষুদ্র দ্বীপ দেশ, কিন্তু কোকো উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ।
সেনেগাল
সঙ্গীত ও ক্রীড়ার প্রাণকেন্দ্র, পশ্চিম আফ্রিকার গেটওয়ে।
সেশেলস
আফ্রিকার সবচেয়ে ধনী দ্বীপ দেশ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অতুলনীয়।
সিয়েরা লিওন
রক্তহীরের ইতিহাস পেরিয়ে শান্তির পথে এগিয়ে চলা দেশ।
সোমালিয়া
দীর্ঘ সমুদ্রতট ও প্রাচীন বাণিজ্যের পথচিহ্ন বহন করছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা
নেলসন ম্যান্ডেলার দেশ, বৈচিত্র ও ঐতিহ্যের প্রতীক।
দক্ষিণ সুদান
বিশ্বের নবীনতম দেশ, স্বাধীনতার স্বপ্নে সদ্য জন্ম।
সুদান
নাইল নদীর তীরে গড়ে ওঠা প্রাচীন সভ্যতার দেশ।
তানজানিয়া
কিলিমাঞ্জারো পর্বত ও সেরেনগেটির বন্যপ্রাণীর স্বর্গভূমি।
টোগো
ছোট্ট দেশ, কিন্তু সাংস্কৃতিক বৈচিত্রে ভরপুর।
তিউনিসিয়া
মরুভূমি থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত সৌন্দর্য।
উগান্ডা
“আফ্রিকার মুক্তা”– প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ভরা।
জাম্বিয়া
ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের গর্জনে মুখরিত দেশ।
জিম্বাবুয়ে
গ্রেট জিম্বাবুয়ে ধ্বংসাবশেষে ইতিহাসের ছাপ আজও স্পষ্ট।
ইউরোপ (৪৪ দেশ)
আলবেনিয়া
পর্বত এবং সমুদ্রের মাঝে ঘেরা,
ইতিহাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ দেশ।
অ্যান্ডোরা
পিরিনিয়াস পর্বতের ছোট্ট দেশ, পর্যটন ও করছাড় সুবিধার জন্য খ্যাত।
অস্ট্রিয়া
মিউজিক ও শিল্পকলায় সমৃদ্ধ দেশ, আল্পস পর্বতের সৌন্দর্য ছড়ানো।
বেলারুশ
ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন শহর ও বনভূমির মধ্যে শান্তিপূর্ণ দেশ।
বেলজিয়াম
চকলেট, বিয়ার ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত।
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
ইতিহাস, নদী ও পাহাড়ের মিশ্রণে সমৃদ্ধ দেশ।
বুলগেরিয়া
বাবা ভাঙ্গার দেশ।
প্রাচীন রোমান ও বাইজান্টাইন স্থাপত্য, সাদৃশ্যপূর্ণ পাহাড় ও সমুদ্রতট।
ক্রোয়েশিয়া
আদ্রিয়াটিক সমুদ্রের স্বর্গীয় দ্বীপপুঞ্জ এবং প্রাচীন শহর।
চেকিয়া (চেক প্রজাতন্ত্র)
প্রাগ শহরের মধ্যযুগীয় স্থাপত্য ও বিয়ার সংস্কৃতির জন্য খ্যাত।
ডেনমার্ক
স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশ, স্থিতিশীল জীবনধারা এবং ইতিহাসের শহরগুলো।
এস্তোনিয়া
ডিজিটাল উন্নয়ন ও মধ্যযুগীয় শহরগুলোর জন্য পরিচিত।
ফিনল্যান্ড
লেক ও বনভূমির দেশ, স্যামি সংস্কৃতি আর নর্দার্ন লাইটের জন্য খ্যাত।
ফ্রান্স
আইফেল টাওয়ার, রিভিয়েরা এবং খাদ্য ও শিল্পের কেন্দ্র।
জার্মানি
প্রযুক্তি, শিল্প ও ইতিহাসে সমৃদ্ধ দেশ, বাভারিয়ার সৌন্দর্য।
গ্রিস
প্রাচীন সভ্যতা ও ভূমধ্যসাগরের দ্বীপপুঞ্জের জন্য খ্যাত।
হাঙ্গেরি
বুদাপেস্টের ইতিহাস, থার্মাল স্পা ও প্রাচীন স্থাপত্য।
আইসল্যান্ড
জ্বালানির অগ্নুৎপন্ন ভূত্বক, গিজার ও গালফস (Gulfs) নদীর দেশ।
আয়ারল্যান্ড
সবুজ ধানক্ষেত, কেল্টিক ইতিহাস ও সাহিত্যিক ঐতিহ্য।
ইতালি
রোমান ইতিহাস, ভিনিস, পিজ্জা ও ফ্যাশনের কেন্দ্র।
কসোভো (আংশিক স্বীকৃত রাষ্ট্র)
নবীন রাষ্ট্র, প্রাচীন স্থাপত্য ও পাহাড়ি সৌন্দর্য।
লাটভিয়া
প্রাচীন কাঠের শহর, সমুদ্র সৈকত এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
লিচেনস্টাইন
আল্পস পর্বতের ছোট্ট রাজত্ব, পর্যটন ও ব্যাংকিং কেন্দ্র।
লিথুয়ানিয়া
প্রাচীন শহর, বনভূমি ও লেকের সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ।
লুক্সেমবার্গ
ছোট্ট দেশ, ব্যাঙ্কিং ও সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
মাল্টা
ঐতিহাসিক দুর্গ ও ভূমধ্যসাগরের দ্বীপ।
মলদোভা
উৎপন্ন ও ওয়াইন কালচার, প্রাচীন শহর ও গ্রামের সৌন্দর্য।
মোনাকো
ফ্রান্সের পাশে ছোট, কিন্তু ধনী শহর-রাষ্ট্র।
ক্যাসিনো ও রিভিয়েরার জন্য খ্যাত।
মন্টেনেগ্রো
আল্পস ও এড্রিয়াটিক সমুদ্রের সৌন্দর্য একসাথে রয়েছে।
নেদারল্যান্ডস
নদী, চাষাভূমি এবং রঙিন টিউলিপ বাগানের দেশ।
উত্তর মেসিডোনিয়া
পর্বত ও প্রাচীন ইতিহাসের মিলন, স্থাপত্য ও হ্রদের দেশ।
নরওয়ে
ফিওর্ডস, উত্তর লাইট এবং পাহাড়ি প্রাকৃতিক দৃশ্যের দেশ।
পোল্যান্ড
ইতিহাস, প্রাচীন শহর ও সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
পর্তুগাল
আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার সঙ্গে প্রাচীন নৌ-বাণিজ্যের কেন্দ্র।
রোমানিয়া
কার্পাথিয়ান পর্বত, ড্রাকুলার কিংবদন্তি ও প্রাচীন শহর।
রাশিয়া (আংশিক এশিয়ায়)
বিশাল আয়তন, সাইবেরিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
সান মারিনো
বিশ্বের প্রাচীনতম স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর একটা, ছোট্ট পর্বতী দেশ।
সার্বিয়া
ঐতিহাসিক শহর, নদী ও সংস্কৃতির কেন্দ্র।
স্লোভাকিয়া
পাহাড়, দুর্গ ও প্রাচীন শহরের দেশ।
স্লোভেনিয়া
পর্বত, লেক এবং ভূমধ্যসাগরের কাছাকাছি ছোট্ট দেশ।
স্পেন
রঙিন উৎসব, সমুদ্র সৈকত এবং ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ।
সুইডেন
লেক, বনভূমি এবং স্থিতিশীল জীবনধারার দেশ।
সুইজারল্যান্ড
আল্পস, ঘড়ি ও ব্যাংকিং শিল্পের জন্য খ্যাত।
ইউক্রেন
উর্বর জমি, ইতিহাস এবং শিল্পকলায় সমৃদ্ধ দেশ।
যুক্তরাজ্য
লন্ডন, ইতিহাস, সাহিত্য ও শিল্পকলার সমৃদ্ধ কেন্দ্র।
ভ্যাটিকান সিটি
বিশ্বের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র, ক্যাথলিক ধর্মের কেন্দ্র।
উত্তর আমেরিকা (২৩ দেশ)
অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা
ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র, সমুদ্র সৈকত ও পর্যটনের জন্য খ্যাত।
দ্য বাহামাস
হরিৎ জল ও প্রবাল দ্বীপের সমৃদ্ধ দ্বীপপুঞ্জ।
বার্বাডোস
ক্যারিবিয়ান দ্বীপ, সমুদ্র সৈকত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ।
বেলিজ
প্রাকৃতিক রিফ ও ডাইভিং স্পটের জন্য খ্যাত মধ্য আমেরিকার দেশ।
কানাডা
বৃহত্তম উত্তর আমেরিকার দেশ।
ঝর্ণা, বনভূমি ও নীল হ্রদের জন্য পরিচিত।
কোস্টা রিকা
জঙ্গল, বন্যপ্রাণী এবং ইকো-ট্যুরিজমের জন্য বিখ্যাত।
কিউবা
কমিউনিস্ট রাজনৈতিক ব্যবস্থা, ক্যারিবিয়ান দ্বীপ ও ক্লাসিক গাড়ির জন্য পরিচিত।
ডমিনিকা
প্রাকৃতিক গরম জলাভূমি এবং পাহাড়ি দ্বীপ রাষ্ট্র।
ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র
সুন্দর সৈকত ও রঙিন সংস্কৃতি, হিস্টোরিক কলোনিয়াল শহর।
এল সালভাদর
মরুভূমি, আগ্নেয়গিরি ও সমুদ্র সৈকতের মিলিত দেশ।
গ্রেনাডা
স্পাইস দ্বীপ হিসেবে পরিচিত, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ।
গুয়াতেমালা
মায়া সভ্যতার নিদর্শন, আগ্নেয়গিরি ও বনাঞ্চল।
হাইতি
প্রাচীন কোলোনিয়াল ইতিহাস ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপ।
হনডুরাস
মায়া সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ ও সমুদ্র সৈকত।
জ্যামাইকা
রেজি সঙ্গীত, সমুদ্র সৈকত এবং রঙিন সংস্কৃতির দেশ।
মেক্সিকো
প্রাচীন অ্যাজটেক ও মায়া সভ্যতার কেন্দ্র, সমুদ্র সৈকত ও শহুরে জীবন।
নিকারাগুয়া
জ্বালানির আগ্নেয়গিরি, লেক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ।
পানামা
পানামা খাল ও বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত।
সেন্ট কিটস ও নেভিস
ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র, সমুদ্র সৈকত ও পর্যটনের জন্য পরিচিত।
সেন্ট লুসিয়া
পর্বত, সমুদ্র সৈকত এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস
প্রবাল দ্বীপপুঞ্জ ও পর্যটনের জন্য পরিচিত।
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
ক্যারিবিয়ান দ্বীপ, সঙ্গীত ও উৎসবের জন্য পরিচিত।
যুক্তরাষ্ট্র
বিশাল দেশ, প্রযুক্তি, ইতিহাস, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ।
দক্ষিণ আমেরিকা (১২ দেশ)
আর্জেন্টিনা
পামপাস তৃণভূমি, আন্দিজ (Andes) পর্বত ও ট্যাঙ্গো নাচের জন্য খ্যাত দেশ।
বলিভিয়া
উচ্চপর্বতযুক্ত অঞ্চল ও লবণ সমভূমির জন্য পরিচিত।
ব্রাজিল
রহস্যে মোড়া আমাজন রেইনফরেস্ট,
কার্নিভাল ও ফুটবলের জন্য বিশ্বখ্যাত।
চিলি
দীর্ঘ, সরু দেশ, আন্দিজ পর্বত ও মরুভূমি বিস্তৃত।
কলম্বিয়া
কফি, বায়োগ্রাফিক ল্যান্ডস্কেপ এবং কর্ণেলিয়ান ইতিহাসের জন্য খ্যাত।
ইকুয়েটর
বিষুবরেখা (Equator) পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে ভাগ করেছে।
গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের জন্য পরিচিত।
গায়ানা
জঙ্গল, নদী ও প্রাচীন কলোনিয়াল ইতিহাস।
প্যারাগুয়ে
নদী ও সাভানার দেশ, দক্ষিণ আমেরিকার অভ্যন্তরীণ অঞ্চল।
পেরু
মাচু পিচু ও ইনকা সভ্যতার কেন্দ্র।
সুরিনাম
প্রাকৃতিক বনভূমি এবং নেদারল্যান্ডস এর প্রভাব।
উরুগুয়ে
সমুদ্র সৈকত, শান্তিপূর্ণ সমাজ ও কৃষিসমৃদ্ধ দেশ।
ভেনেজুয়েলা
অ্যাংজেল ফ্যালস, তেলের দেশ এবং অ্যামাজনের প্রবাহের অংশ।
ওশিয়ানিয়া (১৪ দেশ)
অস্ট্রেলিয়া
বৃহত্তম দ্বীপ-মহাদেশ; ক্যাঙ্গারু, গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ,
ও বিস্তীর্ণ মরুপ্রান্তরের জন্য বিখ্যাত।
ফিজি
সুন্দর প্রবাল দ্বীপ ও নীল সমুদ্রের দেশ;
ডাইভিং (Diving) ও সামুদ্রিক পর্যটনের স্বর্গ।
কিরিবাতি
বিষুবরেখার কাছাকাছি ছড়ানো ক্ষুদ্র দ্বীপদেশ;
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝখানে ছড়ানো দ্বীপপুঞ্জ,
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও পারমাণবিক পরীক্ষার ইতিহাসে পরিচিত।
মাইক্রোনেশিয়া
ক্ষুদ্র দ্বীপ ও প্রবাল প্রাচীরের সমন্বিত দেশ; সামুদ্রিক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ।
নাউরু
বিশ্বের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ, একসময় ফসফেট খনির জন্য সমৃদ্ধ ছিল।
নিউজিল্যান্ড
পর্বত, হ্রদ ও মাওরি সংস্কৃতির দেশ;
“লর্ড অব দ্য রিংস” সিনেমার মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য এখানেই চিত্রায়িত।
পালাউ
স্বচ্ছ নীল জল, জেলিফিশ লেক ও প্রবাল প্রাচীরের জন্যে খ্যাত দ্বীপ দেশ।
পাপুয়া নিউগিনি
বৈচিত্রময় উপজাতি, আগ্নেয়গিরি ও ঘন বর্ষাবনের দেশ।
সামোয়া
প্রথাগত পলিনেশীয় সংস্কৃতি ও বন্ধুবৎসল মানুষের জন্য পরিচিত।
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
প্রবালপ্রাচীর, যুদ্ধের ইতিহাস ও ঘন জঙ্গলে ভরপুর দ্বীপসমূহের সমাহার।
টোঙ্গা
প্রশান্ত মহাসাগরের একমাত্র রাজতন্ত্র; আগ্নেয়গিরি ও সামুদ্রিক জীবনের দেশ।
টুভালু
বিশ্বের অন্যতম ক্ষুদ্র দেশ,
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠে ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে।
ভানুয়াতু
সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও রঙিন সংস্কৃতির দেশ।
অ্যান্টার্কটিকা (০ দেশ)
অ্যান্টার্কটিকা হল পৃথিবীর দক্ষিণতম মহাদেশ, যার প্রায় ৯০% বরফে ঢাকা।
এখানে স্থায়ী কোনও দেশ নেই, কোনও দিন দেশ হিসেবে গঠনও সম্ভব নয়,
কারণ– এর পরিবেশ চরম শীতল, চতুর্দিক জুড়ে পুরু বরফের স্তর,
এবং স্থায়ী বসবাসের অনুপযোগী মাটি রয়েছে।
তবুও এই মহাদেশে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্স,
ভারত, নরওয়ে, চিলির আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে।
বরফের বিশাল শৃঙ্খলা ও কঠিন পরিবেশ,
পৃথিবীর জলবায়ু ও সমুদ্রপৃষ্ঠ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পেঙ্গুইন, সীল, তিমি ও বিশালদেহী সামুদ্রিক পাখি এই মহাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা।
মানুষের পা এখানে বিরল, তাই প্রকৃতির অটুট সৌন্দর্য ও রহস্য এখানে অক্ষুণ্ণ রয়ে গেছে।
( মনোবিজ্ঞানীরা বলেন,
মানুষের মধ্যে একটা প্রবণতা আছে-
যে সম্পর্ক থেকে আর কোনো উপকার পাওয়া যায় না,
তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে।
পড়ুন– Click: জীবনের শেষ দশায় বাবা-মা কি সন্তানের বোঝা, না আশীর্বাদ? )
(Articlesবাংলা– আমাদের, আপনাদের পরিবার, সাথে যুক্ত থাকুন।
লেখাটা ভালো লাগলে শেয়ার করে বন্ধুদের পড়ার সুযোগ করে দিন।)
Articlesবাংলা Bangla Articles, Quotes & Prose-Poetry / বাংলা প্রবন্ধ, উক্তি ও গদ্য-কবিতা।


























