আসবি ফিরে?

তুই আকাশ চেয়েছিলি , বৃষ্টি , ঝড়-বিদ্যুৎকে মাথায় করে নিয়ে,
বুকের ঠিক মাঝখানে আকাশ পেতে আমি দাঁড়িয়ে রইলাম ঘন্টার পর ঘন্টা।

ইচ্ছেমতন ওড়া-উড়ি করে তুই বললি,
এ আকাশে সাদা মেঘ নেই, আমার ভাল্লাগেনা।

তখন গ্রীষ্মকাল, কাঠ ফাটা রোদ্দুর,
হঠাৎ তুই বলে উঠলি, আমি বৃষ্টিতে ভিজতে চাই।

আমি বৃষ্টি হয়ে যত্নে ঝরে পড়লাম তোর দেহের প্রতিটা কোষে ,
তুই বলে উঠলি, ‘এ জল পারেনি আমায় শীতল করতে।’

আমার নীল পৃথিবীকে রেখেছিলাম তোর চোখে,
তুই চোখের বালি ভেবে নিলি।

ভেবেছিলাম তৃষ্ণা এঁকে দেব তোর দু’চোখেই,
তুই চোখ বন্ধ করে দিলি।

আমার অলিন্দে যে পালঙ্কটা পেতেছিলাম,
তা শুধু তোর জন্যে, তুই মাথা রাখিসনি।

জানিস তুই?
তপ্ত রোদের হলুদ, ঝাঁঝালো সেই রাস্তায় ,
তুই আজও হাঁটিস আমার আঙুল ধরে?
আজও তাকিয়ে থাকি তোর কাজল কালো চোখে?

তুই থাকলে আমার পৃথিবীটা মুখস্থ লাগতো যে,
তুই শীতে, তুই বসন্তে, তুই হেমন্তে আর গ্রীষ্মে।

তুই থাকলে আমার ২৪ ঘন্টাটাও মিনিট থেকে সেকেন্ডে আসতে চাইতো বারেবারেই।

তুই ছিলিস বলেই জীবনের আঁকাবাঁকাগুলো
আমার চলতে চাইতো সরলরেখায়।

আজ তোর ঘ্রাণ আছে, কিন্তু স্পর্শ নেই,
স্মৃতিগুলো আজও অক্সিজেন পায় বেমালুম,
আর পোড়ায় শুধু আমাকেই।

তুই আমায় পোড়াল,
অথচ নিতে চাসনি আমার হৃদপিণ্ড পোড়া ঘ্রাণকে,
একজন অপরিচিতের মতন সে গন্ধকে চিনতে চায়নি তোর নাক।

ভালোবাসলে কি সত্যিই যাওয়া যায় দূরে?
কিন্তু তুই চলে গেলি, আর তো ফিরলিও না?

বুকের ঠিক মাঝ বরাবর টেনে গেলি একটা রক্তাক্ত বিষুবরেখা!

আমার হৃদপিণ্ডটা অন্তত ফিরিয়ে দিয়ে যা,
ওটা যে তোর কাছেই।

আমার না বলা কথাগুলো আজও ছুঁতে চায় তোকে,
আসবি ফিরে এ শূন্য বুকে?

তন্ময় সিংহ রায়

Join Our Newsletter

We don’t spam! Read our privacy policy for more info.

About Articles Bangla

Check Also

একটা দ্বৈত ফ্যান্টাসি দৃশ্য। মাঝের গেটওয়ের দু'পাশে আলো ঝলমলে স্বর্গীয় পথ ও লাভা প্রবাহিত অন্ধকার নরক পথ। একজন সাধু মাঝের পথে হাঁটছেন, উপরে দুই বিশাল তলোয়ারধারী মূর্তি।

মনের গোলকধাঁধাঁ!

মন এক অনন্ত ভ্রমনপথ, যেখানে প্রতিটা চিন্তা জন্মায় আলোয়, আর মরে অন্ধকারে। কখনও সে শিশুর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *