চিঠি!

যাঁদের “বাবা” নামক বটগাছ হারিয়ে গেছেন জীবন থেকে-
তাঁদের উদ্দেশ্যে আমার এই ছোট্ট ও সাধারণ নিবেদন: 

প্রিয় বাবা,

আজ সকাল থেকে একটা খাম হাতে নিয়ে ঘুরছি, ভিতরে তোমার নামে লেখা চিঠি- বাবা।
ঠিকানাটা লিখেছি খুব ধরে ধরে- যেখানে তুমি এখন আছো।
পোস্টম্যান দেখেছে, কিছু বলেনি-
শুধু কেমনভাবে একবার চেয়েছিল আমার দিকে।জিজ্ঞেস করেছিলাম-
‘বাবাকে চিঠি লিখছি , এভাবে তাকানোর কি আছে?’
চিঠিটা যদিও ভিজে গেছে কিছুটা, কারণ লেখার সময় অনেক কিছুই লিখে ফেলেছি চোখ দিয়ে।

চিঠিতে লিখেছি- “তোমার ছেলেটা আজ আর ছোট নেই, লাঠি হয়ে উঠতে পারে।

তোমার সেই পুরোনো ঘড়িটা রোজ রাতে কি যেন আমায় বলতে চায়,
আমায় জানিও।”
লিখেছি-“আমি আজ বাবা হয়েছি, কিন্তু তুমি হতে পারিনি।”
সবাই আছে, তবুও খুব নিঃসঙ্গ লাগে নিজেকে।

এ পৃথিবীতে আর কেউ নেই, যাকে “বাবা” বলে ডাকা যায়,
আর ঘুমিয়ে পড়া যায় কোনো নিশ্চিন্ত অন্ধকারে।

ফিরে আসার তীব্র আকাঙ্ক্ষাঃ

“আজও রাতে দরজা খুলে রেখে ঘুমাই-
ভেবে নিই তুমি আসবে দেরিতে।
তোমার ফোন নম্বরটা ডিলিট করিনি-
কোনও দিন যদি কল আসে তোমার ঠিকানা থেকে!”

লিখেছি-“তোমার পুরনো জামাটা আজও আলমারিতে ঝুলে থাকে-
ঠিক আমার মতই নিঃশব্দ, কিন্তু ভারী!”

চিঠিটা পৌঁছালেই উত্তর দিও কিন্তু বাবা- উত্তর দিও শুধু একবার!!

                                                                                                                                                 ইতি,
                                                                                                                                        তোমার ছেলে।

 

তন্ময় সিংহ রায়

 

Join Our Newsletter

We don’t spam! Read our privacy policy for more info.

About Articles Bangla

Check Also

একটা দ্বৈত ফ্যান্টাসি দৃশ্য। মাঝের গেটওয়ের দু'পাশে আলো ঝলমলে স্বর্গীয় পথ ও লাভা প্রবাহিত অন্ধকার নরক পথ। একজন সাধু মাঝের পথে হাঁটছেন, উপরে দুই বিশাল তলোয়ারধারী মূর্তি।

মনের গোলকধাঁধাঁ!

মন এক অনন্ত ভ্রমনপথ, যেখানে প্রতিটা চিন্তা জন্মায় আলোয়, আর মরে অন্ধকারে। কখনও সে শিশুর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *