Articles Bangla

দহন জ্বালা!

হিংসার আগুনে দহন জ্বালাঃ শুষ্ক, ফাটল ধরা জমিতে এক মানুষ হাঁটু গেড়ে বসে আছে, যা অন্যের প্রতি নিজের তীব্র হিংসার এক ভয়ঙ্কর পরিণাম। প্রতীকী মানুষটার বসে থাকা নিচের অংশসহ, তার গোটা দেহ, লাভা, আগুন-ফাটলে পুড়ে কালো হয়ে গেছে। সে বসে আছে বুকে দুহাত চেপে।

অতিরিক্ত হিংসের আগুন, ধীরে ধীরে পোড়ায় নিজেকেই। সেখানে কোনো ধোঁয়া থাকে না, থাকে শুধু দহন জ্বালা।

Read More »

হিংসের গর্ভে মানুষ!

অর্ধেক সাদা ফুল ও অর্ধেক ধ্বংসাবশেষ, মানুষের হিংসের আগুনের বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত একটা শিকড়যুক্ত গাছ। নিচে, ডানদিকে একজন মানুষই আবার তা আলোকিত স্ক্রিনে দেখছে।

মনের জরায়ুতে জন্ম নেয় যে হিংসে, তা হাত-পা ছোড়ে না, নিঃশব্দে জন্ম নেয়, কিন্তু বিস্ফোরণ বোঝা যায়, যেন অদৃশ্য আগ্নেয়গিরি। অন্তর্লোকের গভীরে, একটা একটা করে মেঘ জমে, এর পরই বজ্রপাত। যার জন্মায়, সে হয়তো নিজেও জানে, একটু একটু করে পোড়ায় নিজেকেই, তবুও জন্মায়, যেন জন্মাতে হয়। আবার হয়তো জানেও না, …

Read More »

যে প্রদীপ নিভেও জ্বালিয়ে রেখে গেল আদর্শের আলো!

গায়ক জুবিন গর্গ-এর এক প্রতীক রূপ কনসার্টে মাইক্রোফোন হাতে গান গাইছেন। হাতে গীটার, ব্যাকগ্রাউন্ডে দর্শক।

নিভে গেল সেই প্রদীপ, যা শব্দে নয়, কর্মে লিখে গেল মানবতার ইতিহাস। যা নেভার, তা নেভে পরে। এটা ঘোর কলির এক বাজে স্বভাব। নিভে গেল সেই শিখা, যা শুধু কণ্ঠস্বর নয়, প্রতিফলিত হয় মানুষের হৃদয়ে। যেখানে মিথ্যার ভারে চাপা পড়ে থাকে, সত্যের ক্ষত-বিক্ষত দেহ। যেখানে রাজনীতিবিদ খোঁজে পদ, ক্ষমতা, খ্যাতি …

Read More »

শেষ প্রজাতির প্রতিচ্ছবি!

এক মহাজাগতিক নারী, যার এক চোখে চাঁদ ও হাতে পরমাণু, হৃদয়ে শূন্যতা। সে ধ্বংসাবশেষের উপরে দাঁড়িয়ড়িয়ে, যা আধুনিক মানুষের অস্তিত্বের উদ্দেশ্যহীনতাকে তুলে ধরে।

পৃথিবীর নীরব সংকেত একদিন পৃথিবী চুপ করে যাবে, যেমন হঠাৎ থেমে যায় ঘড়ির কাঁটা। অথচ সময় থেকে যায় এর পরেও। মানুষের অচেতনতা মানুষ, যে একসময় আকাশ মেপেছিল চোখে, সে একদিন তাকাবে নিজেরই ধ্বংসের দিকে। অবাক হয়ে, যেন প্রথমবার কিছু দেখছে। ধূলোর স্বাদ ও নিঃসঙ্গ বাতাস তখন মাটির গন্ধে থাকবে না …

Read More »

কি হবে কোলকাতার ভবিষ্যৎ? উত্তরবঙ্গ থেকে ধরালী– সতর্কতা!

দুঃখ, যন্ত্রণা, কষ্ট, রাগে, দিনের পর দিন ধরে অত্যাচারিত, অপমানিত পৃথিবী যখন মানুষের বিরুদ্ধে ধ্বংসের রায় ঘোষণা করে।

সভ্যতার অহংকার বনাম প্রকৃতির প্রতিক্রিয়াঃ সভ্যতার অহংকার যখন প্রকৃতির সহিষ্ণুতার সীমাকে লঙ্ঘন করে, তখন পৃথিবী আর সংলাপ করে না, ঘোষণা করে “রায়।” এর ভাষা মানুষের অভিধানে নেই, তা প্রকাশ পায় পাহাড় ভেঙে পড়ার শব্দে, জলের উন্মত্ত স্রোতে, আর জীবনের গহ্বরমুখী নীরব যাত্রায়। এ কোনও দুর্ঘটনা নয়, এ এক প্রাচীন সমীকরণের …

Read More »

মনের গোলকধাঁধা!

একটা দ্বৈত ফ্যান্টাসি দৃশ্য। মাঝের গেটওয়ের দু'পাশে আলো ঝলমলে স্বর্গীয় পথ ও লাভা প্রবাহিত অন্ধকার নরক পথ। একজন সাধু মাঝের পথে হাঁটছেন, উপরে দুই বিশাল তলোয়ারধারী মূর্তি।

মন এক অনন্ত ভ্রমনপথ, যেখানে প্রতিটা চিন্তা জন্মায় আলোয়, আর মরে অন্ধকারে। কখনও সে শিশুর মত সরল, আবার হঠাৎই সে পাথরের মত স্থির, অনুভূতিহীন। আমি নিজেই নিজের ভিতরে হেঁটে বেড়াই, একেকটা স্মৃতি যেন দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, যার গায়ে খোদাই করা– “এখানে কেঁদেছিলে।” আরেক দেয়ালে লেখা– “এইখানে হেসেছিলে নির্দ্বিধায়!” মন …

Read More »

চাঁদের অদেখা দিক– রহস্য, বিজ্ঞান ও ভুল ধারণার ইতিহাস!

চাঁদের পৃষ্ঠের কাছে একসাথে দেখানো হয়েছে– রোভার, ভয়েজার মহাকাশযান, লাল দানব নক্ষত্রে পরিণত সূর্য, স্পেস ডাটার র' ফরম্যাট। বিজ্ঞান ও কল্পনার সংমিশ্রণে তৈরি এক ফিউচারিস্টিক স্পেস আর্ট।

মোহময়ী চাঁদ– কল্পনা থেকে বাস্তবঃ ও চাঁদ, সামলে রাখো জোছনাকে। চান্দ ছুপা বাদল মে, সরমাকে মেরি জানা। চন্দা রে চন্দা রে, কভি তো জমিপে আ। নিশি রাত, বাঁকা চাঁদ আকাশে। ও চাঁদ, আমার কি অপরাধ। চাঁদের স্নিগ্ধতা, সৌন্দর্য, মোহময়ী রূপকে কল্পনা করে রচিত হয়েছে কত গান, করা হয়েছে কত তুলনা? …

Read More »

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল– সমুদ্রের অদৃশ্য রহস্য ত্রিভুজ!

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলঃ মায়ামি, হ্যামিলটন, সান হুয়ানের ত্রিভুজ। গভীর সমুদ্রে রহস্যময় স্টার গেট, জাহাজ ও বিমান নিখোঁজ।

রহস্যের সামনে নির্বাক সভ্যতাঃ পৃথিবী– এর গর্ভে আজও যে কত বিষ্ময় লুকিয়ে রেখেছে, বিজ্ঞান-প্রযুক্তির এ হেন অগ্রগতির পরিধিতে থেকেও, তা হয়তো আমরা কল্পনা করতে পারি না। ৩ থেকে ৩.৫ লক্ষ বছর ধরে আমরা কতটুকুই বা চিনতে পেরেছি পৃথিবীকে? এ যেন এক রহস্য-গোলোক। স্টোনহেঞ্জ থেকে শুরু করে মিশরের পিরামিড, মারিয়ানা ট্রেঞ্চ, …

Read More »

মনুষ্যত্বের উচ্চতা!

মনুষ্যত্বের উচ্চতা ও মৌলিক চাহিদাঃ উঁচু ইমারতের পটভূমিতে, একটা ভাঙা প্ল্যাটফর্মে তিনটে কাঠের বাক্স রাখা আছে, যেগুলোতে– Food, Clothes এবং Shelter লেখা। পাশেই এক সোনালী আলোকময় মানব প্রতিকৃতি দাঁড়িয়ে আছে এবং নিচে একটা ফলকে লেখাঃ Humanity Must Not Be Cheap. চিত্রটা মানুষের মৌলিক চাহিদা এবং মনুষ্যত্বের উচ্চতাকে তুলে ধরে।

খাদ্য, পোশাক ও বাসস্থান সস্তা হোক ক্ষতি নেই, মনুষ্যত্ব না হলেই হল। আমরা যেভাবে অভ্যস্ত উঁচু ইমারত দেখিয়ে, সেভাবে মনুষ্যত্ব নয়।    

Read More »