একটা রক্তাক্ত বিষুবরেখা!

আকাশের খোঁজে

তুই আকাশ চেয়েছিলি–
বৃষ্টি , ঝড়-বিদ্যুৎকে মাথায় করে নিয়ে,
আমি বুকের ঠিক মাঝখানে আকাশ পেতে,
দাঁড়িয়ে রইলাম ঘন্টার পর ঘন্টা।
ইচ্ছেমতন ওড়া-উড়ি করে তুই বললি–
“এ আকাশে সাদা মেঘ নেই, আমার ভাল্লাগেনা।”

বৃষ্টিতে ভেজার ইচ্ছে

তখন গ্রীষ্মকাল, কাঠ ফাটা রোদ্দুর,
হঠাৎ বলে উঠলি– “আমি বৃষ্টিতে ভিজতে চাই।”
আমি বৃষ্টি হয়ে, যত্নে ঝরে পড়লাম তোর দেহের প্রতিটা কোষে।
তুই বলে উঠলি–
“এ জল পারেনি আমায় শীতল করতে।”

নীল পৃথিবীর ভ্রান্তি

আমার নীল পৃথিবীকে রেখেছিলাম তোর চোখে,
তুই চোখের বালি ভেবে নিলি।
ভেবেছিলাম তৃষ্ণা এঁকে দেব তোর দু’চোখেই,
তুই চোখ বন্ধ করে দিলি।

অলিন্দের খালি পালঙ্ক

আমার অলিন্দে যে পালঙ্কটা পেতেছিলাম,
তা শুধু তোর জন্যে, তুই মাথা রাখিসনি।
রেখে গেলি অন্ধকার আর নিস্তব্ধতা।

( বাইরে হাওয়া দোলাচ্ছে তালপাতার ফাঁকে,
যেন সময়ও কেঁপে উঠবে।
হঠাৎ দুজনেই পাথর,
যেন পৃথিবীর শেষ দু’জন মানুষ।
পড়ুন– Click: মৃত্যুও যেখানে লজ্জিত! )

আজও স্মৃতিতে হাঁটা

জানিস?
তপ্ত রোদে, হলুদ, ঝাঁঝালো সেই রাস্তায়,
তুই আজও হাঁটিস আমার আঙুল ধরে।
আজও ডুবে থাকি তোর কাজল কালো চোখে।
যেন কেন খুন করেইনি আমার বিশ্বাসকে।

সময় ছোট হয়ে যাওয়া

তুই থাকলে আমার পৃথিবীটা মুখস্থ লাগতো।
তুই শীতে, তুই বসন্তে, তুই শরতে আর গ্রীষ্মে।
তুই থাকলে সময় ছোট হয়ে যেত,
২৪ ঘন্টাটা গলে যেত সেকেন্ডে।

তুই ছিলিস বলে–
আমার জীবনের আঁকাবাঁকাগুলো ছিল অনুগত,
চলত সরলরেখায়।

হৃদপিণ্ড পোড়া ঘ্রাণ

আজ তোর ঘ্রাণ আছে, কিন্তু স্পর্শ নেই।
স্মৃতিগুলো আজও অক্সিজেন পায় বেমালুম,
আর পোড়ায় শুধু আমাকেই।
যেন আগুনও কথা বলে তোর হয়ে।
তুই আমায় পোড়ালি,
অথচ নিতে চাসনি আমার হৃদপিণ্ড পোড়া ঘ্রাণকে।
একজন অপরিচিতের মতন সে গন্ধকে চিনতে চায়নি তোর নাক।

রক্তাক্ত বিষুবরেখা

ভালোবাসলে কি সত্যিই যাওয়া যায় দূরে?
কিন্তু তুই চলে গেলি, আর তো ফিরলিও না।
বুকের ঠিক মাঝ বরাবর আঁচড়ে গেলি একটা রক্তাক্ত বিষুবরেখা!
আমার হৃদপিণ্ডটা অন্তত ফিরিয়ে দিয়ে যা,
ওটা যে তোর কাছেই।

আমার না বলা কথাগুলো আজও ছুঁতে চায় তোকে।
আসবি ফিরে এ শূন্য বুকে?

( পাশের বাড়ির টুসি,
এ বছর ভাইফোঁটায় সাজিয়েছে ১১ রকমের মিষ্টির ডালা।
সাথে বাগদা, ইলিশ আর কচি পাঁঠা।
যেন বাকি দোকানগুলো আত্মগোপন করেছে লজ্জায়।
পড়ুন– Click: সেন বাড়ির ছেলেটা আজ “মানুষ” হয়েছে! )

 

Join Our Newsletter

We don’t spam! Read our privacy policy for more info.

About Articles Bangla

Check Also

দুই নেকড়ে (ধর্ম ও রাজনীতি) একটা থালা থেকে রক্ত খাচ্ছে , সেই রক্তে পৃথিবীর প্রতিচ্ছবি। তাদের পিছনে দুটো পতাকার একটায় লেখা– "বিশ্বাসে বাঁচো," অন্যটায় লেখা– "আমায় মানো।" আর সামনে রক্তের স্রোত বয়ে চলেছে পথের মতো, যাতে অসংখ্য মানুষের ভিড়।

দুই নেকড়ে!

নেকড়ের যুগে হারানো মানবতা দুজন যেন দুই নেকড়ে, একই থালায় রক্ত খায়। একজন বলে, “বিশ্বাসে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *