একদিন সব থেমে যাবে।
যে দৌড় আজ এত জরুরি মনে হয়,
সে দৌড় একসময় দাঁড়িয়ে থাকবে অচল হয়ে।
সময় তখন আমাদের হাতে থাকবে না,
আমরা থাকব সময়ের হাতে-
একটা ক্ষণিকের শ্বাসের মত।
অসমাপ্ত কথারা ঝুলে থাকবে বাতাসে,
অপূরণীয় স্বপ্নগুলো ছিঁড়ে যাবে মেঘের মত-
আকাশ জুড়ে ভেসে বেড়াবে,
এরপর ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যাবে।
আর অগোছালো ইচ্ছেগুলো ছড়িয়ে থাকবে ফাঁকা ঘরের নীরবতায়।
( তুই আকাশ চেয়েছিলি।
বৃষ্টি, ঝড় বিদ্যুৎকে মাথায় করে নিয়ে,
বুকের ঠিক মাঝখানে আকাশ পেতে আমি দাঁড়িয়ে রইলাম ঘন্টার পর ঘন্টা…
প্রেমিকের এত ভালোবাসা, এত আত্মত্যাগ শেষে কি মূল্য পেল?
এই নিয়ে লেখাটা পড়তে পারেন- আসবি ফিরে? )
কেউ হয়তো ডাকবে,
কিন্তু আর কোনও উত্তর শোনা যাবে না।
তবুও এটাই তো জীবনের নিয়ম-
যা শুরু হয়, তা শেষও হয়।
যা থাকে, তা একদিন না-থাকে।
আমরা কেবল মাঝপথের যাত্রী,
মায়ার ভিতরে হেঁটে চলি
একটা সেতুর উপর দিয়ে-
যার ওপারে আলো,
কিন্তু ঠিক কতদূরে, কেউ জানে না।
তাই প্রতিদিনই আসলে শেষ দিনের রিহার্সাল।
প্রতিটা হাসি, প্রতিটা স্পর্শ, প্রতিটা অভিমান,
আমাদের মনে করিয়ে দেয়-
সবকিছু ক্ষণস্থায়ী।
তবু ক্ষণস্থায়ী বলেই,
এর ভিতরে জমে ওঠে এত গভীরতা।
আমরা সবাই রেখে যাব অধরা চাওয়া, অমলিন স্মৃতি,
আর কিছু অসমাপ্ত শুরু।
যেন পৃথিবীটা বুঝে নেয়,
অপূর্ণতাই জীবনের প্রকৃত পূর্ণতা।
তন্ময় সিংহ রায়