মনের গোলকধাঁধাঁ!

মন এক অনন্ত ভ্রমনপথ,
যেখানে প্রতিটা চিন্তা জন্মায় আলোয়, আর মরে অন্ধকারে।
কখনও সে শিশুর মত সরল,
আবার হঠাৎই সে পাথরের মত স্থির, অনুভূতিহীন।

আমি নিজেই নিজের ভিতরে হেঁটে বেড়াই,
একেকটা স্মৃতি যেন দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে,
যার গায়ে খোদাই করা– “এখানে কেঁদেছিলে।”
আরেক দেয়ালে লেখা– “এইখানে হেসেছিলে নির্দ্বিধায়!”

মন সব জানে, কিছুই বলে না।
তার ভাষা নেই, তবু সে প্রতিদিন ঘোষক হয়ে ওঠে।
কখনও স্বপ্নের ভাষায়, কখনও অপরাধবোধের শ্লোক পড়ে।
রাতের বেলায় সে বিচারক হয়।
দিনের বেলায়, পথভ্রষ্ট বালক।

( উৎসবের ভিড়ে সবাই আজ দর্শক নয়।
অনেকে ভীষণ ব্যস্ত দেখাতে।
নতুন পোশাক, দামি পারফিউম, ক্যামেরায় কৃত্রিম হাসি,
সবকিছু যেন অন্যকে বোঝানোর জন্যে।
আর সেই নিরন্তর প্রদর্শনীর মাঝে,
একজন মানুষ দাঁড়িয়ে আছে আবছা হয়ে।
তাঁর কাপড়ের রং ফিকে হলেও সেলাইগুলো বেশ শক্ত।
শিরোনামে ক্লিক করে পড়ুনঃ উৎসবের আনন্দে চাপা পড়া এক বাবার ছবি! )

আমি কখনও তাকে সামলাই, কখনও সে আমাকে।
তর্ক হয়, কে প্রকৃত মালিক?
দেহ বলে– “আমি,” আত্মা বলে– “না, আমি।”
আর মন হাসে, বলে, “তোদের এই ঝগড়াতেই আমার অস্তিত্ব!”

কেন এমন করে সে দ্বন্দ্ব রচনা করে?
হয়তো সে জানতে চায়, আমি আসলে কে?
সদয় মানুষ, না লোভী প্রাণী?
ভালোবাসার নদী, না হিংসার আগ্নেয়গিরি?

মন এক আয়না, কিন্তু সে আয়নায় নিজের চেহারা দেখা যায় না।
দেখা যায় শুধুই নিজেকে লুকানোর কৌশল।
তবু প্রতিদিন আমি তার সামনে দাঁড়াই,
হয়তো সে একদিন মুখখোলা শিশুর মতন বলবে,
“তুই যেমন আছিস, তেমনই থাক,”
আমি তোকে গ্রহণ করেছি বহুকাল আগেই।”

শান্তি মানে আলো কিংবা ছায়া নয়,
শান্তি মানে– দুটোকে একসাথে বুকে নেওয়ার ক্ষমতা।

 

Join Our Newsletter

We don’t spam! Read our privacy policy for more info.

About Articles Bangla

Check Also

উৎসবের ভিড়ে একজন গরিব বাবা তাঁর মেয়েকে কাঁধে নিয়ে ঠাকুর দেখাতে বেরিয়েছেন। চারপাশে বিভিন্ন খাবারের দোকানের কোনো এক দোকানে কিছু খাওয়ার জন্যে তাঁর ছোট্ট মেয়েটা আঙুল তুলেছে।

উৎসবের আনন্দে চাপা পড়া এক বাবার ছবি!

উৎসবের ভিড়ে প্রদর্শনঃ উৎসবের ভিড়ে সবাই আজ দর্শক নয়। অনেকে ভীষণ ব্যস্ত দেখাতে। নতুন পোশাক, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *