Area-51″ কি শুধুই পৃথিবীর সবচেয়ে গোপনীয় ও Restricted সামরিক ঘাঁটি,
না কি ভিনগ্রহীদের গোপন ডেরা?
এক কথায় বলতে, দীর্ঘদিন ধরেই গহীন ও দুর্ভেদ্য রহস্যে মোড়া এই “Area-51.”
Roswell Crash থেকে শুরু করে Bob Lazar– এর বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি,
সব কিসের ইঙ্গিত দেয় তাহলে?
কিসের এত নিরাপত্তা, কেনই বা এত গোপনীয়তা?
এই অতি গোপনীয়তার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে বসে নেই তো কোনো ভয়ঙ্কর সত্য,
কোনো অজানা সত্য?
আসুন জানার বা খোঁজার চেষ্টা করি এই Article থেকে…
নানান ভাবে তাঁরা বোঝাবার , বলার চেষ্টা করে আসছে ,
সেখানে এলিয়েন আদৌ নেই।
দীর্ঘদিন ধরে পৃথিবীবাসীর কাছে জানিয়ে এসেছে- সেই জায়গা নাকি তাঁদের অত্যন্ত গোপনীয় এক সামরিক গবেষণা কেন্দ্র।
যদি তাই হয়, তবে সেখানে ঢুকলে মাত্রই গুলি?
কেন এত কঠোরতা?
( বাজারের ব্যাগ থেকে শুরু করে পলিব্যাগ।
এদিকে জামাকাপড়, বোতল, খেলনা, মোড়ক, গাড়ি।
আজ সবজায়গায় নাক গলিয়ে বসে আছে এই প্লাস্টিক।
পড়ুনঃ প্লাস্টিকের আবিষ্কার আজ কিভাবে হল পৃথিবীর ভয়ঙ্কর অভিশাপ? )
তবে তা কি শুধুই ঘাঁটি, না পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত এক রহস্যের কবর?
যদি সামরিক গবেষণাগার হয়েই থাকে, তবে এই যুক্তিসংগত প্রশ্নগুলো কি নিতান্তই সাজানো?
এ প্রশ্নগুলোর জন্ম কি এমনিই হল?
১. এত মাত্রায় গোপনীয়তা কেন?
সেখানে ঢুকতে যাওয়া তো বহু দূরে,
এমনকি প্রাচীরের কাছাকাছি গেলেও অধিকার দেওয়া আছে গুলি করার।
হতেই পারে অত্যন্ত গোপনীয় এক সামরিক ঘাঁটি , পরীক্ষাগার , গবেষণা কেন্দ্র ইত্যাদি।
কিন্তু এর জন্যে এত মাত্রাতিরিক্ত নিরাপত্তা?
কি এমন গোপনীয়তা তাঁরা রক্ষা করছে, যা মানুষ জানলে বিশ্বাস হারাবে বাস্তবতার ওপর?
২. উপগ্রহ চিত্রে রহস্যময় অবকাঠামো :
উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায় ভূপৃষ্ঠের নিচে চলে যাওয়া রাস্তাঘাট, অস্বাভাবিক গঠন, বিশাল হ্যাঙ্গার।
কিছু কিছু রাতের ছবি দেখে মনে হয়, এ যেন কোনও অন্য গ্রহের প্রযুক্তি পরীক্ষা হচ্ছে, যার গতি ও আকার একেবারেই অচেনা।
৩. সরকার এত বছর এর অস্তিত্বই অস্বীকার করেছিল কেন?
১৯৫৫ থেকে কার্যক্রম চললেও ২০১৩ সালে এসে সরকার প্রথম স্বীকার করে , “হ্যাঁ এরকম কিছু আছে!”
যদি কিছুই লুকানোর না থাকে, তবে এত দশক ধরে সত্যিটা কেন রাখা হয়েছিল ধামা চাপা দিয়ে?
৪. কর্মচারীদের ফাঁস হওয়া ভাষ্য :
Bob Lazar, যিনি Area 51 এর দক্ষিণে অবস্থিত আরও একটা অত্যন্ত গোপনীয় স্থান ‘S-4’-এ কাজ করতেন,
তিনি নিজে দাবি করেছেন-
- S-4 পাহাড়ের ভিতরে নির্মিত।
- সেখানে রাখা আছে ৯ টা ভিনগ্রহী মহাকাশযান।
- তাঁর কাজ ছিল একটা অ্যান্টি- গ্র্যাভিটি প্রপালশন সিস্টেমকে রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং করা।
- তিনি কোনো এক স্পেসশিপে ঢুকে এর অভ্যন্তরীণ গঠনও পর্যন্ত দেখেছেন বলে দাবি করেন।
- এলিয়েনদের তৈরি স্পেসশিপ বা মহাকাশযানে এক অজানা শক্তির উৎস ছিল, যা এলিমেন্ট-১১৫ নামে পরিচিত।
বলাবাহুল্য তাঁর দাবির বহু বছর পরে বিজ্ঞানীরা সত্যিই Periodic Table- এ Element-115 “Moscovium” নামে অন্তর্ভুক্ত করেন। - ওই স্পেসশিপগুলো চলে অ্যান্টিগ্র্যাভিটি প্রযুক্তিতে- ফলে বেমালুম মাটির সাথে কোনও সংযোগ ছাড়াই ভেসে থাকে।
- মার্কিন সরকার এইসব তথ্য চরম গোপনে রাখছে, পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে করছে বিভ্রান্ত।
- তিনি এলিয়েন স্পেসক্রাফট্-এর ইঞ্জিন ব্যাখ্যা করতে পারেন।
- পরবর্তীতে তাঁকে একঘরে করে দেওয়া হয়, চাকরি থেকে বের করে রেকর্ড, এমনকি মুছে দেওয়া হয় তাঁর পরিচয় পর্যন্ত।
এখন প্রশ্ন হল এখানেই যে- Bob Lazar যদি সব মিথ্যেই বলে থাক, বলে থাকে বানানো গল্প,
তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তাঁকে এত ভয় কেন?
আর যদি বলে সত্যিই, তাহলে তো আর থাকেই না কোনও প্রশ্ন।
৫. Roswell UFO Crash এর যোগসূত্র :
সাল ১৯৪৭— নিউ মেক্সিকোর রসওয়েলে পড়েছিল এক অজানা উড়ন্ত বস্তু, সেই ধ্বংসাবশেষ,
সেই মৃতদেহ সবই কি এরিয়া ৫১ এ এখনও গচ্ছিত?
যদি না হয়, তবে সেগুলো কোথায়?
প্রত্যক্ষদর্শীরা আজও বলেন :
“আমরা মানুষ দেখিনি, ওরা কেমন অন্যরকম ছিল।”
৬. পুরো আকাশপথ নিষিদ্ধ কেন?
এয়ারলাইনের কোনও ফ্লাইট, কোনও প্রয়োজনেই উড়তে পারে না এই ঘাঁটির উপর দিয়ে-
এমনকি NASA পর্যন্ত কোনও কৃত্রিম উপগ্রহ প্রতিষ্ঠা করায় না এই ঘাঁটির উপরে।
সাধারণ টেকনোলজির জন্যে এত ভয়? এত নিরাপত্তা?
না কি আকাশ থেকেই দেখা যেতে পারে এক ‘অপ্রকাশ্য সত্য?’
৭. “Storm Areal 51” আন্দোলনে সরকারের ভয়ানক হুঁশিয়ারি :
২০১৯ সালে লাখো লাখো মানুষ “Storm Area 51” ইভেন্টে অংশ নেন-
ফলস্বরূপ সরকার স্পষ্টতই জানিয়ে দেয়, “প্রবেশ করলেই লিথাল ফোর্স ব্যবহার করা হবে।”
লিথাল ফোর্স হল এমন শক্তি বা বলপ্রয়োগ, যা প্রাণঘাতী- অর্থাৎ যার দ্বারা কারও মৃত্যু ঘটতে পারে বা ঘটে।
শুধু কৌতুহলী কিছু তরুণ-তরুণীর বিরুদ্ধে এমন নির্দেশিকা জারি?
কেন এত ভয়?
৮. অতিরিক্ত উন্নত প্রযুক্তির উৎস :
Stealth Bomber, ড্রোন টেকনোলজি-
এসব সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছেছে যখন এরিয়া ৫১ এ তা তিন দশক আগেই ছিল।
তবে এখন তাঁরা কাজ করছে কি নিয়ে?
টাইম ট্রাভেল?
ইনভিজিবিলিটি?
অন্য ডাইমেনশনে প্রবেশ?
৯. কেন এখানেই বেশি UFO দেখা যায়?
এরিয়া ৫১-এর চারপাশে UFO এত বেশি দেখা যায় কেন?
পৃথিবীতে আর জায়গা নেই?
আকাশে এমন গতি, এমন আলো, এমন নিঃশব্দ চলাচল-যা কোনও মানবীয় বিমানে সম্ভব নয়।
তবে কি এটা শুধু মাত্র এলিয়েনের গন্তব্য?
১০. CIA-এর গোপন নথিতে ‘Non-Human Intelligence’-
এর ইঙ্গিত :
ফাঁস হওয়া কিছু নথিতে CIA লিখেছে- “Contact with advanced non-terrestrial technology.”
জায়গার নাম যদিও উল্লেখ করা হয়নি, তবে প্রোটোকল দেখে গবেষকরা বলেছেন- তা এরিয়া ৫১- ই।
তাহলে কি পৃথিবী সরকারিভাবেই জানে, আমরা একা নই?
যদি এরিয়া ৫১-তে বিশেষ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও কনফিডেন্সিয়াল কিছু না’ই থাকে,
তবে সেখানে যাওয়াটাই কেন মৃত্যু ঝুঁকির মত অপরাধ?
এটা কি শুধু একটি সামরিক ঘাঁটি বা গবেষণাগার, না কি এমন এক দরজা- যার ওপাশে আছে সেই সত্য,
যা মানুষ জানলে কেঁপে যাবে গোটা সভ্যতার ভিত্তিই??
[ আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত কি?
আপনারাও কি আমার মতই বিশ্বাস করেন যে,
Area-51- এই লুকানো রয়েছে ভিনগ্রহী প্রাণীর অস্তিত্ব বা প্রযুক্তি?
কমেন্টে জানাতে পারেন।
পাশাপাশি শেয়ার করে এই প্রশ্নগুলো ঢুকিয়ে দিতে পারেন আরও বহু মানুষের মনের মধ্যে? ]
তন্ময় সিংহ রায়