ক্ষীন দৃষ্টি আর পাতলা হয়ে গুটিয়ে আসা চামড়ার জঙ্গলে,
ভারসাম্যহীন দেহটাকে ডালপালার মতন টেনে হিঁচড়ে-
আমি আজও আসি তোমার-আমার প্রিয় সেই বকুল গাছটার তলায়-
যদি শেষবার রেখে যেতে পারি
তোমার সেই কাজল কালো চোখে
আমার এই দৃষ্টি,
যে দৃষ্টি শুধুমাত্র চিনতে পারবে তুমি।
যে দৃষ্টিতে থাকবে একবুক হাহাকার ব্যাকুলতা ও না-পাওয়ার তীব্র বেদনা!
থাকবে হতাশা
ও আকাশ-পাতাল আন্দোলিত করা নীরব এক আর্তনাদ!
যদি একবার শুনতে পারি তোমার শব্দ,
যদি ছুঁতে পারি শেষবারের মতন তোমার হাতটা,
( কথা ছিল জীবনটা শেষ পর্যন্ত কাটাবো একসাথে,
কিন্তু এ কি খেলা বিধাতার?
কেন আমায় রেখে গেলে একা?
প্রতিদিন আমি মরছি একটু একটু করে।
পড়তে পারেন নিচের লেখাটাঃ)
যদি ভুল করেও আসো চলে, মৃত্যুকে বলে দেব চোখ রাঙিয়ে:
“তোকে আর ভয় পাইনা আমি,
স্বর্গসুখ পেয়েছি আমি,
আমি ছুঁয়েছি স্বর্গকে!”
তখন মৃত্যুও হবে কেবল এক প্রহরী,
যে দরজা খুলে দেবে তোমার কাছে ফেরার।
অশ্রুর ভিতর দিয়ে আলো হয়ে তুমি হাসবে,
আর আমি বিশ্বাস করবো-
ভালোবাসাই হল একমাত্র স্বর্গ,
যেখানে আমি সত্যিই ছুঁয়েছি তোমায়।
তন্ময় সিংহ রায়
One comment
Pingback: নীরব ঈশ্বর, হিসেবি মানুষ! - Articles Bangla