নীরব ঈশ্বর, হিসেবি মানুষ!

একদিন নীরব ঈশ্বর, হিসেবি মানুষ মুখোমুখি হল-
ঈশ্বর ফিরে তাকালেন না,
তাঁর চোখের পাতা পড়ল না-
আর ঠিক সেইদিনই মানুষ হয়ে উঠল ঈশ্বর।
সে বানাল ন্যায়-নীতি, সাজালো বিচার,
লিখে ফেলল পাপের সংজ্ঞা।

 

(সত্যি ভালোবাসার প্রভাব একজন মানুষের জীবনের
শেষ পর্যন্ত প্রভাব ফেলতে পারে ঠিক কি পরিমাণে?
জানতে হলে পড়তে পারেন নিচের লেখাটা।)

আমি ছুঁয়েছি স্বর্গকে!

ঈশ্বর বনাম মানুষ:

কিন্তু ইশ্বর হতে গিয়ে মানুষ ভুলে গেল-
ইশ্বর ছিলেন নিঃশর্ত; মানুষ নয়।
মানুষ চায় পূজা, প্রতিদান,
চায় জবাবদিহি।
তাই আজ ‘ভালো কাজ’ও হয় ক্যামেরার ফ্ল্যাশে,
আর প্রার্থনা দাঁড়ায় এক অলিখিত লেনদেন হয়ে।
তুমি দাও, আমি মানি।
তুমি চুপ থাকো,
আমি অন্য ভগবান খুঁজি।

নীরবতার ভয়:

আমরা বিশ্বাস করি না ইশ্বরে-
আমরা ভয় পাই ঈশ্বরহীনতায়।
কারণ তাঁর অনুপস্থিতিই প্রমাণ করে-
আমরা আসলেই সম্পূর্ণ একা, ভয়ঙ্করভাবে একা!

মানুষ ও উপাসনার সীমা:

তাই আমরা গড়ে তুলি মন্দির,
গড়ি মসজিদ, গির্জা।
পাথরের দেওয়ালে বন্দি করি
অদৃশ্য সত্ত্বাকে।
কিন্তু গভীর রাতে, নীরবতার ভিতরে,
আমাদের কান কাঁপে নিজের হৃদস্পন্দনের শব্দে-
যেন সেটাই একমাত্র প্রার্থনা, একমাত্র ঈশ্বর।

নীরব ঈশ্বর ও হিসেবি মানুষ: প্রশ্ন?

আমরা প্রশ্ন করি, উত্তর পাই না-
তবুও প্রশ্ন করাটাই যেন আমাদের ধর্ম।
কারণ নিরব ঈশ্বরের অভাবে,
আমরা ভেঙে পড়ি
নিজের ভিতরের শূন্যতায়,
যা কোনও মন্দির,
কোনো প্রার্থনায় ভরাট হয় না।

 

তন্ময় সিংহ রায়

Join Our Newsletter

We don’t spam! Read our privacy policy for more info.

About Articles Bangla

Check Also

একটা দ্বৈত ফ্যান্টাসি দৃশ্য। মাঝের গেটওয়ের দু'পাশে আলো ঝলমলে স্বর্গীয় পথ ও লাভা প্রবাহিত অন্ধকার নরক পথ। একজন সাধু মাঝের পথে হাঁটছেন, উপরে দুই বিশাল তলোয়ারধারী মূর্তি।

মনের গোলকধাঁধাঁ!

মন এক অনন্ত ভ্রমনপথ, যেখানে প্রতিটা চিন্তা জন্মায় আলোয়, আর মরে অন্ধকারে। কখনও সে শিশুর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *