সাধারণ মানুষ ছিল সে।
চা খেত, খবর পড়ত।
বলে রাখত, “আমি কিন্তু মেয়েদের খুব সম্মান করি।”
এরপর একদিন রাতের রাস্তায় হঠাৎ তাঁর মগজে হেঁচকি ওঠে,
আর বেরিয়ে আসে সেই ভেতরের দার্শনিক,
যে ভাবে, ‘সম্মতি তো দুর্বলতার ইঙ্গিত,
না থাকলেই তো রোমাঞ্চ, আমি পুরুষ।’

এখন সে বড় ব্যস্ত।
নারীর স্বাধীনতা বোঝায় সবাইকে,
আর সুযোগ পেলে সেই স্বাধীনতাকেই নিজের করে নেয়।
সে ভাবে, “আমি দেবতা, মেয়েরা দেবী,
পূজো করার পদ্ধতিটা শুধু একটু আলাদা!”
দেবতা বেচারা!
দরকার একটাই– সমাজের তালি।
আর সমাজও তাঁকে দেয়,
কারণ সে “মেয়েদের শিক্ষা, পোশাক, সংস্কৃতি” নিয়েই উদ্বিগ্ন।
এরপর রাজনীতি আসে, হাসি মুখে বলে–
“ভাই, তুমি তো ভীষণ কর্মঠ!
একটু বেশি উৎসাহী হয়ে গেছিলে, তাই না?”
ধর্ষক তখন পার্টির পোস্টারেই উঠতে থাকে।
কে জানে, পরের ভোটে মন্ত্রীর চেয়ারেই না বসে!
বিচারব্যবস্থা তখন হাই তুলছে,
মিডিয়া ব্যস্ত টি আর পি’র টিকিতে তেল ঘষতে।
আর ধর্ষক মহাশয়?
তিনি এখন সম্মেলনের হৃদপিণ্ড।
বক্তব্য রাখেন– “নারীর সুরক্ষা ও আমাদের ভূমিকা।”
তালি, ফুল, ফটোসেশন– সবই আসে একসাথে, প্যাকেজ হয়ে।

আমি তখন ভেবে উঠি–
মানুষের ভেতরের পশুটা নিশ্চয় খুব শিক্ষিত,
কারণ সে সবসময় যুক্তি খুঁজে নেয়,
আর নিজের অপরাধের জন্যে বানিয়ে ফেলে দার্শনিক তত্ত্ব।
তবু হাসি পায়,
কারণ যে দেশে অন্যায়ের পেছনে নেতা দাঁড়িয়ে থাকে,
সেখানে এরা দৃঢ়, আত্মবিশ্বাসী ও দ্বিধাহীন।
এদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
“হয় মন্ত্রী হবে, নয়তো পদ পাবে– “সংস্কৃতি রক্ষক।”
( লিখেছি-
“তোমার পুরনো জামাটা আজও আলমারিতে ঝুলে থাকে-
ঠিক আমার মতই নিঃশব্দ, কিন্তু ভারী!”
চিঠিটা পৌঁছালেই উত্তর দিও কিন্তু বাবা- উত্তর দিও শুধু একবার!!
পড়ুন– Click: চিঠি! )
Articlesবাংলা Bangla Articles, Quotes & Prose-Poetry / বাংলা প্রবন্ধ, উক্তি ও গদ্য-কবিতা।