আদর্শ বেপারি দেখো আজও অর্থে উন্মত্ত। এরা পোশাকে ঢাকে দেহ– কিন্তু উলঙ্গ মনুষ্যত্ব।  

অতিরিক্ত হিংসের আগুন, ধীরে ধীরে পোড়ায় নিজেকেই। সেখানে কোনো ধোঁয়া থাকে না, থাকে শুধু দহন জ্বালা।

মৃত্যুর আগে জীবিত থাকবে ক’দিন, তা বড় ব্যাপার নয়। বড় বিষয় হল– জীবিত থাকবে মৃত্যুর পরেও ক’দিন?

খাদ্য, পোশাক ও বাসস্থান সস্তা হোক ক্ষতি নেই, মনুষ্যত্ব না হলেই হল। আমরা যেভাবে অভ্যস্ত উঁচু ইমারত দেখিয়ে, সেভাবে মনুষ্যত্ব নয়।    

নাই যদি হয় এ জীবনে আর কভু দেখা- যা বাতাস বলে দিস তাঁকে, আজও আমি একা!      

দুর্ভাগ্যবশতঃ মানসিকভাবে অশিক্ষিতদের কোনও স্কুল-কলেজ নেই।    

সম্পর্ক একটা শিশুর মতন- তা সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে, যত্ন, ভালোবাসার মাধ্যমে লালন-পালনে। এই লালন-পালন হওয়া উচিৎ দু’দিকেই। ছেড়ে যায় সেই— যে বোঝে না সম্পর্কের মূল্য।      

যার শব্দ নেই, তার কণ্ঠ শোনে না সভ্যতার কান, নীরবতার শরীর ছিঁড়ে জন্ম নেয় শুধু ক্ষমতার গান।      

অপেক্ষার শেষ প্রহরে দাঁড়িয়ে বুঝলাম- প্রতিশ্রুতিও ঋতু হয়, সময় ফুরোলেই বদলে যায়। তুমিই তো সেই দুর্লভ যাত্রী- যে আমার হৃদয়ে এসে চুরি করে নিয়ে গেলে সমস্ত আলো, আবার হৃদপিণ্ডটাকেও ফেলে দিয়ে গেলে কৃষ্ণগহ্বরে।        

শূন্যতাও কথা বলে, তবু তোমায় ডাকি কাছে। চোখে জল নেই, শুধু ভিতরে বরফ জমে আছে!!