একদিন নীরব ঈশ্বর, হিসেবি মানুষ মুখোমুখি হল- ঈশ্বর ফিরে তাকালেন না, তাঁর চোখের পাতা পড়ল না- আর ঠিক সেইদিনই মানুষ হয়ে উঠল ঈশ্বর। সে বানাল ন্যায়-নীতি, সাজালো বিচার, লিখে ফেলল পাপের সংজ্ঞা। (সত্যি ভালোবাসার প্রভাব একজন মানুষের জীবনের শেষ পর্যন্ত প্রভাব ফেলতে পারে ঠিক কি পরিমাণে? জানতে হলে পড়তে …
Read More »আমি ছুঁয়েছি স্বর্গকে!
ক্ষীন দৃষ্টি আর পাতলা হয়ে গুটিয়ে আসা চামড়ার জঙ্গলে, ভারসাম্যহীন দেহটাকে ডালপালার মতন টেনে হিঁচড়ে- আমি আজও আসি তোমার-আমার প্রিয় সেই বকুল গাছটার তলায়- যদি শেষবার রেখে যেতে পারি তোমার সেই কাজল কালো চোখে আমার এই দৃষ্টি, যে দৃষ্টি শুধুমাত্র চিনতে পারবে তুমি। যে দৃষ্টিতে থাকবে একবুক হাহাকার ব্যাকুলতা ও …
Read More »দ্বিতীয় নিঃশ্বাস!
পর্দা সরানো সকালগুলোতে- এখনও আলো তোমার মতই পড়ে দেয়ালে। টেবিলের চা শেষ করে ফেলি ঠান্ডা হওয়ার আগেই- কোথাও যেন বিরক্তির ভাঁজ পড়ে গেছে বাতাসে। ( মা’কে যারা জীবন দিয়ে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্যে নিচের এই লেখাটা পড়তে পারেনঃ ) চিতা! বাজারে গেলে ছায়া পড়ে দুজনের, যদিও পা একজোড়া। তোমার শাড়ির ভাঁজে …
Read More »চিঠি!
যাঁদের “বাবা” নামক বটগাছ হারিয়ে গেছেন জীবন থেকে- তাঁদের উদ্দেশ্যে আমার এই ছোট্ট ও সাধারণ নিবেদন: প্রিয় বাবা, আজ সকাল থেকে একটা খাম হাতে নিয়ে ঘুরছি, ভিতরে তোমার নামে লেখা চিঠি- বাবা। ঠিকানাটা লিখেছি খুব ধরে ধরে- যেখানে তুমি এখন আছো। পোস্টম্যান দেখেছে, কিছু বলেনি- শুধু কেমনভাবে একবার চেয়েছিল আমার …
Read More »শূন্যে অপেক্ষা!
বাতাস এসেছিল আজ আমার ঘরে, বুঝিয়ে গেল- কিছু ফেরা হয় না। কিন্তু সব হারায় না- কিছু ভালোবাসা রয়ে যায় উচ্চারণহীন। তোমার শরীরে এখন নীরব সময়ের গন্ধ- চোখে আছে সন্ধ্যে নামা আকাশের ক্লান্তি! ঘরের কোণে কোণে ঘুরে বেড়ায় নাতির হাসি। ( যাঁদের “বাবা” নামক বটগাছ হারিয়ে গেছেন জীবন থেকে- তাঁদের উদ্দেশ্যে …
Read More »চিতা!
মায়ের প্রতি শোকের আর্তিঃ তুমি কি সত্যিই শুয়ে আছো ঐ কাঠের ওপরে মা? ঐ আগুন কি সত্যি? না কি আমি কেবল দেখছি এক দুঃস্বপ্ন- যেখান থেকে এখনও ঘুম ভেঙে ওঠা বাকি? আমার চোখের সামনে নির্দয় আগুন কেমন উঠছে ওপর দিকে- আর তোমার চেনা শরীর ধীরে ধীরে কেমন অচেনা হয়ে যাচ্ছে। …
Read More »ওরা কি জানে ওরাও মানুষ?
ওদের জীবনে ৮ টার আলো নেই, ঘুম ভাঙতে হয় ভোরের আগে। না, ওটা ঘুম নয়, শরীরকে কিছুটা সময় চুপ করিয়ে রাখা। হাঁড়ির জলে সিদ্ধ হয় শূন্য, কিন্তু জ্বালিয়ে রাখতে হয় আগুন, কারণ খিদেকে যেন বোঝানো যায়, দেখো চেষ্টা করছি। ওদের পায়ের রেখায় আঁকা থাকে যন্ত্রণার মানচিত্র। জুতো, ওদের কাছে বিলাসিতার …
Read More »কেউ চিরকাল থাকে না!
কেউই থাকে না চিরকাল- থেকে যায় শুধু কয়েকটা ছায়া, কিছু অনুচ্চারিত শব্দ, আর ভাঙা আয়নার মতো কিছু মুখ। অতীতের দরজায় আটকে থাকে নিঃশ্বাস, যাকে ভেবেছিলাম চিরন্তন, সে-ই হয়ে ওঠে প্রশ্ন, আত্মার অন্ধকারে ভেসে চলা ছায়া। ( তুই চলে গেছিস- সে যাওয়া কোনও ঝড়ের মতন বিশৃঙ্খল ছিল না, বরং ছিল এক …
Read More »ভিতরের শহরে আজও ধ্বংসস্তূপ!
তুই চলে গেছিস- সে যাওয়া কোনও ঝড়ের মতন বিশৃঙ্খল ছিল না, বরং ছিল এক নীরব ধ্বস, যার শব্দ বাইরে নয়- ভিতরে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল একটা গোটা শহর। আমি চেষ্টা করেছি মানিয়ে নিতে। তোর না-থাকাকে মেনে নিতে চেয়েছি সময়ের মত স্বাভাবিক করে। বুঝেছি, কেউ চিরকাল থাকে না- থেকে যায় শুধু স্মৃতি, কিছু …
Read More »আসবি ফিরে?
তুই আকাশ চেয়েছিলি , বৃষ্টি , ঝড়-বিদ্যুৎকে মাথায় করে নিয়ে, বুকের ঠিক মাঝখানে আকাশ পেতে আমি দাঁড়িয়ে রইলাম ঘন্টার পর ঘন্টা। ইচ্ছেমতন ওড়া-উড়ি করে তুই বললি, এ আকাশে সাদা মেঘ নেই, আমার ভাল্লাগেনা। তখন গ্রীষ্মকাল, কাঠ ফাটা রোদ্দুর, হঠাৎ তুই বলে উঠলি, আমি বৃষ্টিতে ভিজতে চাই। আমি বৃষ্টি হয়ে যত্নে …
Read More »